ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরিশালের সেরাদের সম্মাননা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০২ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০১৭
পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরিশালের সেরাদের সম্মাননা এক সেরা সংগঠকের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্টের (সেকায়েপ) পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরিশাল বিভাগের ১৪৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংগঠককে ‘সেরা সংগঠক সম্মাননা- ২০১৬’ দেওয়া হয়েছে। 

শনিবার (৩ জুন) সকালে বরিশালের পুলিশ লাইন্সের পুলিশ কনফারেন্স হলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। বিভাগের ৬টি জেলার ২৪টি উপজেলার ১৪৯৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মসূচিটি পরিচালিত হয়েছে।

এটি বাস্তবায়নে রয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।

সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)  মো. আবুল কালাম তালুকদার, বরিশাল অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস, সেকায়েপের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. মুস্তাফিজর রহমান, বরিশাল জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সেকায়েপের প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মাহামুদ-উল-হক। এছাড়া কর্মসূচির উপসচিব ও কো-টিম লিডার শরিফ মো. মাসুদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।  

শুভেচ্ছা বক্তব্যে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির কো-টিম লিডার মাসুদ বলেন, ২০১৭ সালে সারাদেশে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির ২১ লাখ ৭০ হাজার পাঠক হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখছেন, সেই উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষারও উন্নতি প্রয়োজন।

স্বাগত বক্তব্যের পর সেরা সংগঠকদের মধ্য থেকে দু’জন পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতা ও ভূমিকা বর্ণনা করেন। বই পড়ার অভ্যাসের কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে দুই সংগঠক এই কার্যক্রমকে সারাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।  

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুজ্জামান বলেন, বইপড়ার গুরুত্ব ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সেকায়েপ প্রকল্পের এ ধরণের কর্মসূচি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  

তিনি বলেন, আমাদের শৈশবে এমন সুযোগ ছিল না, সরকার যে সুযোগ সৃষ্টি করেছে, সেই সুযোগকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। বিশেষ করে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির এই কার্যক্রমকে সফল এবং সার্থক করে তোলার জন্য শিক্ষকদের আরও আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে সেকায়েপের প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মাহামুদ-উল-হক বলেন, সেকায়েপ প্রকল্পের একটি অন্যতম উদ্যোগ বইপড়া কর্মসূচি। মানুষকে বড় হতে হলে তাকে বই পড়তেই হবে । বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্দেশ্য জীবনকে আলোকিত ও বিকশিত করা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরি উন্নয়নের জন্য আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য সেকায়েপ প্রকল্প নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের ২৫০টি উপজেলার প্রায় ১২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই পড়া কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।  

সেরা সংগঠক সম্মননা পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগঠকদের এই অর্জনের জন্য মো. মাহামুদ-উল-হক তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান।  

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে পঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির সংগঠকদের নিয়ে ‘সেরা সংগঠক সম্মাননা পুরস্কার-২০১৬’ প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। সারাদেশে মোট ১ হাজার ১৮৪ জন সেরা সংগঠক সম্মাননা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।  

দুপুরে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির প্রোগ্রাম অফিসার রিপন আহসান ঋতুর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।