ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবির ‘আহমদ শরীফ অধ্যাপক চেয়ার’ পদে সন্‌জীদা খাতুন

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৯ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৭
ঢাবির ‘আহমদ শরীফ অধ্যাপক চেয়ার’ পদে সন্‌জীদা খাতুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে ‘আহমদ শরীফ অধ্যাপক চেয়ার’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও গবেষক ড. সন্‌জীদা খাতুন। তিনি এক বছর এ পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালে বাংলা বিভাগে গবেষণায় নিয়োজিত থাকবেন।

সোমবার (১২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে এ তথ্য জানানো হয়।  
 
ড. সন্‌জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩ সালে।

জাতীয় অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেন তার বাবা, মা সাজেদা খাতুন। তিনি ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিএ অনার্স, ১৯৫৫ সালে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, শান্তিনিকেতন থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন এবং পরবর্তীতে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি উত্তর গবেষণাও সম্পন্ন করেন। অধ্যাপক সন্‌জীদা খাতুন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডি. লিট ‘দেশিকোত্তম’ লাভ করেন ২০০৮ সালে।
১৯৫৭ সালে ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ থেকে অবসর নেন। অবসর নিলেও পুনর্নিয়োগক্রমে তিনি ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।  

সন্‌জীদা খাতুনের ২৫টিরও বেশি গ্রন্থ রয়েছে। তিনি ১১টি গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন। ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তনের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। তিনি নালন্দা বিদ্যালয় এবং ব্রতচারী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৫৩ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশ বেতার ও ১৯৬৪ সাল থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের নিয়মিত সঙ্গীতশিল্পী। ১৯৬৮ সালে নজরুলগীতির মিক্সড এক্সটেনডেট প্লে-রেকর্ড এবং ১৯৭০ সালে রবীন্দ্রনাথের দু’টি গানের এক্সটেনডেট প্লে-রেকর্ড পাকিস্তান থেকে বের হয়। ঢাকা ও কলকাতা থেকে তার অসংখ্য গানের সিডি বের হয়েছে।  

১৯৮৮ সালে কলকাতার ‘টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ সন্‌জীদা খাতুনকে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধিতে ভূষিত করে। একই বছর তাকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ‘রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার দেয়। বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৯০ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে। ১৯৯৮ সালে বাংলা একাডেমির সা’দত আলী আখন্দ পুরস্কার, ১৯৯৯ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং ২০১০ সালে বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার অর্জন করেন।

২০০৫ সালে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সম্মানজনক ফেলোশিপ লাভ করেন। এছাড়াও তিনি বেগম জেবুন্নেছা ও কাজী মাহবুব জনকল্যাণ ট্রাস্টের স্বর্ণপদক ও সম্মাননা (১৯৯০), অনন্যা পুরস্কার (২০০০) এবং বিজয় দিবস পদক (২০০৯) লাভ করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৭
এসকেবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।