ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ময়মনসিংহে জেএসসিতে পিছিয়ে গ্রামের স্কুলগুলো 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
ময়মনসিংহে জেএসসিতে পিছিয়ে গ্রামের স্কুলগুলো 

ময়মনসিংহ: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলাফলে ময়মনসিংহের স্বনামধন্য স্কুলগুলো কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করলেও পিছিয়ে পড়েছে গ্রামের স্কুলগুলো। পাসের হার থেকে শুরু করে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকেও বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এসব স্কুল। 

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে ফলাফল প্রকাশের পর এসব স্কুলের ফল বিশ্লেষণ করে এমন তথ্যই জানা গেছে।  

নগরীর প্রবাহ বিদ্যানিকেতনে ৩৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৭ জন।

এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৩ জন। পাটগুদাম গার্লস হাই স্কুলে ২১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে মাত্র ৮ জন। পাসের হার ৩৮.১০ শতাংশ।  

উত্তরপাড়া জুনিয়র হাই স্কুলে ৩৩ জন পরীক্ষার্থীর ১৬ জনই অকৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার ৫১.৫২ শতাংশ। গালগাঁও হাই স্কুলের ৪০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে মাত্র ২২ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ২৮ জন।  

জেলার গৌরীপুর উপজেলার অগ্রদূত বিদ্যানিকেতনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮৬ জন। পাস করেছে ২৮ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৫৮ জন। পাসের হার ৩২.৫৬ শতাংশ।  

একই উপজেলার বাতান্দার হাই স্কুলে ১০৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪৭ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৬১ জন।  

এ উপজেলার স্থানীয় নামাপাড়া আদর্শ হাই স্কুলের ৯৬ জনের মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৩৬ জন। পাসের হার ৩৭.৫০ শতাংশ।

স্থানীয় গুঁজিখাঁ দেওয়ানবাগী জুনিয়র হাই স্কুলে ৫৩ জনের মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ২০ জন। পাসের হার ৩৭.৭৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র একজন।

ঈশ্বরগঞ্জের ফানুর জুনিয়র হাই স্কুলে ১৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৩ জন পাস করেছে। ১৬ জন অকৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার ১৫.৭৯ শতাংশ।  

নান্দাইলের রায়পাশা হাই স্কুলে ৮৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪১ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার ৪৮.২৪ শতাংশ।  

ইমাম হোসাইন হাই স্কুলে ২৯৭ জনের মধ্যে মাত্র ৯৭ জন কৃতকার্য হয়েছে। অকৃতকার্য হয়েছে ২’শ পরীক্ষার্থী। পাসের হার ৩৪.৭৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন।  

স্থানীয় আঁচারগাঁও জুনিয়র হাই স্কুলে ১৩২ জনের মধ্যে পাস করেছে মাত্র ২৬ জন। পাসের হার ১৯.৭০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।  

ফলাফলের এমন বিপর্যয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৫০ শতাংশের নিচে পাস করলে সাধারণ বোর্ড থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।  

তবে আমরা ফলাফল এখনও বিশ্লেষণ করিনি। বিশ্লেষণের পর দেখা হবে স্কুলগুলো এবারই ফলাফল খারাপ করেছে কি না, শিক্ষকদের কোনো অবহেলা আছে কি না। এ বিষয়ে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলে জানান শিক্ষা কর্মকর্তা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭ 
এমএএএম/আরআর


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।