ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বিশ্বায়নে নেতৃত্ব দিতে মেধাচর্চার বিকল্প নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৮
বিশ্বায়নে নেতৃত্ব দিতে মেধাচর্চার বিকল্প নেই সমাবর্তনে বক্তব্য রাখছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: জ্ঞান-নির্ভর এই বিশ্বায়নের যুগে মেধাচর্চার কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) ১৯তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

স্পিকার বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে অর্থনীতির চালিকাশক্তি হবে এশিয়া।

বাংলাদেশও এ যাত্রায় সহযাত্রী থাকবে। এই যাত্রায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার নেতা থাকবে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা। তাই জ্ঞান-নির্ভর এই বিশ্বায়নের যুগে মেধাচর্চার কোনো বিকল্প নেই।

স্পিকার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সারাজীবনের অর্জিত জ্ঞান ও শিক্ষাকে মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত করা প্রয়োজন। আমাদের জীবন একটাই, আর তাই জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তোলা আবশ্যক। ব্যক্তিজীবনে লক্ষ্য নির্ধারণ করে সফলতা অর্জন এবং সেই সফলতাকে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে ছড়িয়ে দেওয়াটা জরুরি।

শান্তি, সমৃদ্ধি ও সন্ত্রাসমুক্ত যে বিশ্বের কথা বলা হচ্ছে, তা অর্জনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, এক্ষেত্রে সবার কাছে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল হতে পারে। সমাবর্তনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ অতিথিরা।  ছবি: শাকিল আহমেদসমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আইইউবিসহ দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের লক্ষ্য পূরণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই আমরা সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করি না। তারা সবাই আমাদের সন্তান, জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের সবার জন্যই আমরা মানসম্মত শিক্ষা এবং সুযোগ নিশ্চিত করতে চাই।

কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও তাদের ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যারা শর্ত পূরণ করতে পারছে না, তারা এভাবে বেশিদিন চলতে পারবে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই।

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছো। এখন তোমাদের কর্তব্য হবে, এই শিক্ষাকে দেশ, মানুষ ও সমাজের কল্যাণে কাজে লাগানো।

আইইউবির এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ১ হাজার ১১৯ শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হয়। এর মধ্যে স্নাতক সনদপ্রাপ্ত হন ৮২৩ শিক্ষার্থী এবং স্নাতকোত্তর সনদপ্রাপ্ত হন ২৯৬ শিক্ষার্থী।

সমাবর্তনে ‘চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন ইংরেজি বিভাগের স্নাতক এস এম মাহফুজুর রহমান, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সর্বোচ্চ মান সিজিপিএ ৪ অর্জনের জন্য ‘অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন সায়লা ইশরাত এ্যানী, ইয়াসিন আরাফাত ও অন্বয় মুতাসিম।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও আইইউবির উপাচার্য প্রফেসর এম ওমর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৮
এমএসি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।