একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. সেলিম রেজা স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার অপসারণ ও নতুন অধ্যক্ষ পদায়নের দাবিতে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তারা অফিস সহায়ক রবিউল ইসলামকে মারপিট করেন। রবিউল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ফের ক্যাম্পাসের মধ্যে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা একই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। যদিও দুপুর ১টার পরে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের কাছে নোটিশ পৌঁছায়।
এদিকে, দাবি পূরণ না হলে হল ত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি, বাগেরহাটের অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির অধ্যক্ষ ড. সিরাজুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন বলেন, ইনস্টিটিউট বন্ধের নির্দেশ সম্বলিত একটি চিঠি পেয়ে সে আলোকে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের ওই আদেশ সম্পর্কে জানিয়েছি, তারা হল ত্যাগ না করলে আমরা আমাদের ব্যবস্থা নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮
এসআই