বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তনের পাদদেশে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
এছাড়া সংবাদ সংগ্রহে আগে থেকেই যারা মূল অনুষ্ঠানের সামনে অবস্থান করেছিলেন, তাদের সঙ্গেও বারবার ধাক্কাধাক্কি ও বাকবিতণ্ডা হয় বিএনসিসি সদস্যদের। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে অবহিত করার পরও কোনো ধরনের সুরাহা হয়নি। বরং সাংবাদিকরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন।
কয়েকজন সংবাদকর্মী বাংলানিউজকে বলেন, কর্মসূচির সামনে দাঁড়ানো নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে যখন অশোভন আচরণ করা হচ্ছে, ঠিক তখনই একইস্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন হলের প্রায় শ’খানেক কর্মী অবস্থান নিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন বিএনসিসির প্রায় ৩০-৩৫ জন সদস্য। যারা মানববন্ধনে ভিসির সামনে বিশেষ নিরাপত্তাবলয় তৈরি করেছেন। যদিও ইতোপূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোনো কর্মসূচিতে ভিসিকে এভাবে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার নজির নেই। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে সাংবাদিকদের হয়রানির শিকার হওয়ার ঘটনাও এবারই প্রথম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানকে ফোন দেওয়া হলে তার প্রটোকল অফিসার আহসানুল কবির মল্লিক ফোন রিসিভ করেন। তিনি বলেন, স্যার অফিসে ফাইল স্বাক্ষর করছেন।
সমাবেশে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, উন্নয়নশীল দেশে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য তিনটি শর্তের প্রয়োজন ৷ সে তিনটি শর্ত বাংলাদেশ পূরণ করতে পেরেছে। এজন্য জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় পর্যবেক্ষণে রাখছে। ২০২১ সালে জাতিসংঘ মূল্যায়ন করার পর ২০২৪ সালে স্থায়ীভাবে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা অনেক। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে কাজ করতে হবে। এছাড়াও ২০৪১ সালে আমাদের যে ভিশন আছে, সে ভিশন বাস্তবায়নের জন্য যে প্রস্তুতির প্রয়োজন তা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৮
এসকেবি/জিপি