‘তবে নতুন কিছু বের করলে (পদ্ধতি) তো আর কিছু করতে পারবো না। আশা করছি মানুষের পক্ষে যে পরিমাণ অসাদুপায় অবলম্বন করা সম্ভব, সেই পরিমাণ ব্যবস্থা আমরা নেবো’।
বুধবার (২৮ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন মন্ত্রী। এসময় শিক্ষা সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সব ধরনের কোচিং সেন্টারই বেআইনি
মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে লাভ হয় না। এতে শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য আমাদের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনুরোধ করবো এর পেছনে না ছুটে পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার। এতে মানবিক মূল্যবোধটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি বলেন, গতবছর এসএসসি পরীক্ষার পর আমরা প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্তে কমিটি করে দিয়েছিলাম। সেই কমিটি কিছু সুপারিশ দিয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে বিবেচনা করা হবে।
কমিটির সুপারিশে ছিলো, যেসব শিক্ষক জড়িত তাদের চাকরিতে বরখাস্ত ও শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা। সে বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এসব আমাদের বিবেচনায় আছে। শিক্ষকদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। গত বছর পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ৫২টি মামলা হয়েছে, এরইমধ্যে ১৫৭ জন গ্রেফতার হয়েছে। আমরা আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি, বন্ধ করিনি।
তিনি বলেন, যারা প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নিয়েছে, তারা আংশিক সুযোগ নিয়েছে। শুধুমাত্র এমসিকিউ ৩০ নম্বরের পরীক্ষার, তাও আবার যে সেট আউট করা হয় তা বাস্তব প্রশ্নের সঙ্গে মিল থাকে না। আসলে মন্ত্রণালয় তথা সরকারকে হেনস্তা করতে একটি বিশেষ চক্র কাজ করছে। তারা সরকারের সব অর্জন নষ্ট করতে এসব কাজ করছে।
মন্ত্রী বলেন, তারা ভুল প্রশ্ন আউট করে। প্রশ্নের মতো তৈরি করে আউট করে। আমাদের পুলিশের কাছে ফাঁসকারীরা স্বীকার করেছে। আবার কেউ কেউ আছে হয়তো সঠিকটাই করে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে যেটা আউট হয়েছে সেটা পরবর্তীতে মোবাইলে দিয়েছে। আমরা দেখেছি তারিখ-সময় পরিবর্তন করে ভুল প্রশ্ন ফাঁস করা যায়। এর সঙ্গে ব্যবসা জড়িত। এজন্য যেসব মাধ্যমে টাকা লেনদেন হয় তাদের সঙ্গে আমরা বসছি কর্মপন্থা নির্ধারণে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
এসএম/জেডএস