মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) রামপুরা-কুড়িল বিশ্ব রোড অর্থাৎ প্রগতি সরণির রামপুরা ব্রিজ সংলগ্ন সড়কে ও নর্দ্দাসহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।
সকাল থেকেই নর্দ্দা এলাকায় বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি) এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এআইইউবি) ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন।
আর আফতাবনগরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন রামপুরা ব্রিজ ও সড়কে অবস্থান নিয়েছেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।
কোটা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন ফেস্টুন তুলে ধরার পাশাপাশি নানা স্লোগানও দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটির ছাত্র আব্দুলাহ আল মামুন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম ঘোষণা করছি। তাই রাস্তায় নেমে এসেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরবো না। ’
এদিকে রাস্তার উভয়পাশে বসে পড়ায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে। শতশত যানবাহন আটকা পড়েছে উভয়দিকে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যমুখী সাধারণ মানুষকে।
এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।
বেশ ক’দিন ধরেই কোটা সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গত রোববার (০৮ এপ্রিল) পদযাত্রা বের করেন তারা। এরপর রাতে শাহবাগে অবস্থান আন্দোলনকারীরা।
কিন্তু ওইদিন রাতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোমবার (০৯ এপ্রিল) সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
এরই মধ্যে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করা হবে।
আর এই সময়ের মধ্যে কোটা ব্যবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর দেখবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
তবে আন্দোলন স্থগিত নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বিধা-বিভক্তি দেখা দেয়। তাই সোমবার বিকেলে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
ওইদিন রাতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা না এলে ১৬ এপ্রিল ‘ঢাকা চলো’ কর্মসূচি পালিত হবে।
আর এর মধ্যেই মঙ্গলবার আন্দোলনে নেমেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে ঢাবি ক্যাম্পাসেও আন্দোলন চলছে।
বাংলাদেশ সময়:১২৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
এসআই/আরএম/এমএ