বুধবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় চার সহস্রাধিক শিক্ষার্থী প্রধান ফটকের সামনে মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করছেন।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে রাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে ১০টায় সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সিনেট ভবনের সামনে আসে। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর সাড়ে ১০টায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে যায়। অন্যদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় রুয়েট শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে ১১টার দিকে প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নেন।
এর আগে সরকারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৯ এপ্রিল)সন্ধ্যায় আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
এদিন সংসদে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ এবং মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ‘বাজেটের আগে কোটা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব নয়’ বলে মন্তব্য করেন। সরকারের দুই মন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তারা ফের আন্দোলনে নামেন।
মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় অনির্দিষ্টকালের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও অবরোধের ঘোষণা দেন আন্দোলনের রাবি শাখার সমন্বয়ক মাসুদ মোন্নাফ। ওই ডাকে সাড়া দিয়ে বুধবার ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে আসেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮
এএটি