মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানায় তারা।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাবি কবি সুফিয়া কামাল হলের বেশ কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থীকে হলের প্রাধ্যক্ষ (অধ্যাপক ড. সাবিতা রেজওয়ানা রহমান) হয়রানি করে ছাত্রত্ব বাতিল, গোয়েন্দা নজরদারি ও মামলার হুমকি দিয়ে, মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মধ্যরাতে হল থেকে বের করে দিয়েছেন। এসব করার কোনো এখতিয়ার তার নেই এবং এসব কর্মকাণ্ড আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলেও এর বিরুদ্ধে প্রক্টরের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রাধ্যক্ষ কর্তৃক শিক্ষার্থী নিপীড়ন ও হয়রানির ঘটনার পর তার কোনো নৈতিক অধিকার নেই দায়িত্বে বহাল থাকার। এই ন্যাক্কারজনক আইনবিরুদ্ধ হীনকর্মের জন্য অবিলম্বে তাকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলন থেকে সাতটি দাবি উত্থাপন করা হয়। সেগুলো হলো- কবি সুফিয়া কামাল হলের নিপীড়ক প্রাধ্যক্ষকে অপসারণ করতে হবে; কোটা ব্যবস্থা বাতিল নয়, কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে; কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর হামলাকারী পুলিশ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিচার করে শাস্তি দিতে হবে; অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে এবং নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সিনেট পূর্ণাঙ্গ করতে হবে; প্রয়োজন ও মেধার ভিত্তিতে হলে সিট বন্টন করতে হবে; অবিলম্বে গেস্টরুম-গণরুম নির্যাতন, ভর্তি ও সিট বাণিজ্য, হলে-ক্যাম্পাসে র্যাগিং, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে; কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি সুমন শেখ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
এসকেবি/এসএইচ