মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ভবনে সাংবাদিকদের এক প্র্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্র সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে সুফিয়া কামাল হলে কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে।
পরে সাংবাদিকরা কোন সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল- এমন প্রশ্ন করলে স্পষ্ট না করেই তিনি বলেন, আপনারা জানেন। পত্রপত্রিকায় এসেছে। একজন সহ-সভাপতি…
হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে কোনো ছাত্রী মৌখিকভাবে বা লিখিতভাবে এশার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে নি।
মধ্যরাতে ছাত্রীদের হল থেকে বের করা নিয়ে অধ্যাপক সাবিতা রেজওয়ানার বলেন, হলের বেশ কয়েকজন মেয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছিল এই বলে যে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আসলে বিশ্ববিদ্যালয় এশার লাঞ্ছনার ঘটনায় কাউকে বহিষ্কার করেনি। তাছাড়া ওইদিন দুপুরে হলের কিছু মেয়ে সন্দেহজনকভাবে করিডোরে ঘোরাঘুরি করছিল। তাই আমরা হল প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে অভিভাবকদের কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে এই সমস্যা নিরসন করতে চেয়েছিলাম।
হলের দুই হাজার মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে দেব এমন একটি অডিও রেকডিং ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হল প্রাধ্যক্ষ বলেন, যেই অডিও রেকডিং ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে সেখানে অসম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে। কারণ শিক্ষার্থীরা আগে পরে অনেক কিছু বাদ দিয়ে মাঝখানের অংশটা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এশাকে লাঞ্ছনার বিষয়ে আমি হলের মেয়েদের বলেছিলাম যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু মেয়েরা বলছিলেন, আমরা সবাই ওই সময় উপস্থিত ছিলাম। সুতরাং আপনি নির্দিষ্ট কয়েকজনকে বহিষ্কার করতে পারেন না। বহিষ্কার করলে সবাইকে করতে হবে। তখনই আমি এ কথাটি বলেছিলাম।
সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন সময়ে ১০-১২ জন ছাত্র মুখে কালো কাপড় বেঁধে ফেস্টুন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। ফেস্টুনে লেখা ছিল ‘গুজব ছড়াচ্ছে কে? বিচার চাই, সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রীরা’। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা মুখ খুলতে রাজি হন নি। নিজেদের পরিচয়ও দেন নি। পরে তাদের ছবি নিয়ে হলের শিক্ষার্থীদের দেখানো হলেও তারা আসলেই সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রী কি না নিশ্চিত করতে পারে নি। এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষকে জিজ্ঞেস করা হলেও তিনি কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন।
গত ১০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল শাখা সভাপতি ইফফাত জাহান এশা কর্তৃক কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রীদের নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এতে এক ছাত্রীর রগ কেটে দেয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ছাত্রীরা এশাকে লাঞ্ছিত করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
এসকেবি/এসএইচ