শনিবার (১২ মে) সকালে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে শ্রেণী কক্ষে না যেতে পেরে খোলা আকাশের নিচে মাঠে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
এর আগে শুক্রবার ( ১১ মে) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রচন্ড ঝড়ে বিদ্যালয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
লক্ষ্মীপুরে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
স্থানীয় চর মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো.ইমান আলী বাংলানিউজকে বলেন, 'কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়ে আধাপাকা ভবন ভেঙে গেছে, টিনের চালা উড়ে গিয়ে অন্য স্থানে পড়েছে। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর দু’টি শ্রেণীকক্ষ লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী নুশরাত জাহান ও সপ্তম শ্রেণীর শাহিন চৌধুরী জানায়, 'ঝড়ে তাদের বিদ্যালয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যালয় ভেঙে পড়ায় তারা শ্রেণী কক্ষে যেতে পারছে না। পাঠদান বন্ধ থাকলে যথাসময়ে সিলেবাস শেষ করতে পারবে না। দ্রুত তারা বিদ্যালয়ের মেরামত চায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, ঝড়ে বিদ্যালয় লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। পাঠদান অসম্ভব। রোদ-ঝড়-বৃষ্টির এ মৌসুমে খোলা আকাশের নিচেও পাঠদান অনিশ্চিত। বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, বিদ্যালয় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। শিক্ষার্থীদের যাতে পাঠদান বন্ধ না হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দক্ষিণ চর মার্টিন চৌধুরী বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ৪শ ৫০জন শিক্ষার্থীরা রয়েছে। কালবৈশাখীর কবলে পড়ায় তাদের পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যালয় মেরামত ও পাঠদান নিশ্চিত করা না গেলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক ও সচেতন মহল।
শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কমলনগরে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। ঝড়ে কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা, চলতি মৌসুমের ধান এবং বিভিন্ন ফসলসহ শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ সময় ঝড়ের সঙ্গে তুমুল শিলাবৃষ্টিও হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৮
এসআর/এএটি