বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) সংশ্লিশ্টরা এ অভিযোগ করেছেন। তারা বলছেন, চাঁদা না দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি আবাসিক হলের ওয়াইফাই সংযোগ স্থাপনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন ভূঁইয়া, শাহপরান হল প্রভোস্ট শাহেদুল হোসেন এবং কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক জহিরুল ইসলাম ছাত্রলীগের চাঁদা দাবির বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক ড. জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে সব হলেই ইন্টারনেট স্থাপনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে কয়েকজন ছাত্রনেতা।
গত রমজান ও ঈদের ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধ থাকে। তখনই ওয়াইফাই সংযোগ স্থাপনের কাজ শুরু হয়। কিন্তু ঈদের ছুটির কারণে কিছু কাজ বাকি থেকে যায়। ছুটি শেষে ক্যাম্পাস খোলার পর কাজ শুরু করলে ছাত্রলীগ নেতারা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হামিদা ট্রেডার্সের কাছে চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা কাজ বন্ধ করে দেয়।
শাহপরান হলের প্রভোস্ট শাহেদুল হোসাইন বলেন, হল খোলার পর রাউটার লাগানোর কাজ শুরু হয়। এ সময় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রুহুল আমীন ও সহ সভাপতি তারিকুল ইসলাম চাঁদা দাবি করেন। অন্যতায় তারা কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন বলে আমাকে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে ছাত্রলীগের ছেলেরা আমাকে বলেছে ওই কাজে তারা বাঁধা দেবে না।
এদিকে চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমীন বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় আমি জড়িত নই।
তবে সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলামের মোবাইলে ফোন দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৭ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৮
এমএ/