সোমবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে ক্লাস বর্জন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকরা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের ২০ জন শিক্ষক এবং সাতজন কর্মচারী রয়েছেন।
একদিকে আদালতের আদেশ অন্যদিকে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের নিয়োগ প্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। কে এখন বেতন সিটে স্বাক্ষর করবেন এ নিয়ে জটিলতার কারণে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত আট মাস ধরে শিক্ষকদের বেতন ও দু’টি ঈদ বোনাস বকেয়া হয়।
কারিগরি শাখার ক্লাস বর্জনকারী শিক্ষক হোসনেয়ারা বেগম ও গণিত বিষয়ের শিক্ষক শাহনাজ বেগম বাংলানিউজকে বলেন, বকেয়া বেতন-বোনাস না পাওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরে যাবেন না তারা।
শিক্ষকদের ক্লাস বর্জনের বিষয়টি স্বীকার করে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, স্কুলের কাজে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। এছাড়া তিনি শিক্ষকদের বকেয়া বেতন-বোনাস দ্রুত দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জাকিয়া এলিচ বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষকরা যাতে বেতন-বোনাস পান সে বিষয়ে চেষ্টা চলছে। শিগগিরই তারা তাদের বেতন-বোনাস পাবেন।
এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সরোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
এসআরএস