মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের চলমান ‘কোটা সংস্কার’ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারিভাবে গঠিত ‘কোটা সমস্যা সমাধান সংক্রান্ত কমিটির’ প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিবের প্রাথমিক প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মনে করি, বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় কিছু পরিমাণ কোটা রাখা দরকার।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু পরিতাপের বিষয় সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে চারবার আলোচনা করে সময় নিয়েও কোনো ধরনের কাজ না করে নির্যাতন-নিপীড়ন, দমন-পীড়নের কারণে সরকারের প্রতি শিক্ষার্থীদের মনে অনাস্থা ও সংশয় তৈরি হয়েছে। ছাত্রসমাজ ও সাধারণ মানুষ আরও মনে করে, কোটা সমস্যা সমাধানে বার বার ‘কোর্টের একটি পর্যবেক্ষণ’ কে অজুহাত হিসেবে সামনে আনার বিষয়টি কেবল নতুন করে কালক্ষেপণের একটি পন্থা। কর্তৃপক্ষ যদি সত্যিই সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার জায়গা থেকে বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে তবে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অনতিবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা দরকার।
সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউল্লাহসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
এসকেবি/আরআর