সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৭ সালের ২০ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত ঢাবির খেলার মাঠে সংগঠিত ঘটনার পর থেকে ২৩ আগস্টকে কালো দিবস হিসেবে পালন করে ঢাবি।
অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল প্রমুখ।
সঞ্চালনা করেন সিন্ডিকেট সদস্য এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির।
অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, সে সময় তথাকথিত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাদের সীমা অতিক্রম করে নির্যাতন চালায়। রাজনীতিবিদদের গ্রেফতার করা হয়। ঢাবির চার শিক্ষকের বিচার হয়, দণ্ড হয়। তারা ক্ষমা চাননি। ঢাবি কোনো কাপুরুষ তৈরি করে নাই। এটি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীত ইতিহাস ঐতিহ্য।
ঢাবির উপ-উপাচার্য বলেন, আমরা কোনো অসাংবিধানিক সরকার চাই না, আমরা চাই দেশে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শান্তিপূর্ণভাবে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে এবং ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। সাংবিধানিকভাবে দেশ এগিয়ে যাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা একটি গণতান্ত্রিক শাসন চাই।
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে ঢাবিতে দিবসটি পালন করা হয়। ঢাবির চরিত্র হলো যেকোনো ধরনের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, জুলুমের ও নির্যাতন বিরুদ্ধে দাঁড়ায়।
এসময় মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম, চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন, সহকারী প্রক্টর লুৎফুল কবির, সোহেল রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮
এসকেবি/আরবি/