অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে সোমবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে জাতীয় মনিটরিং এবং আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভায় শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
আগামী ১ নভেম্বর শুরু হয়ে পরীক্ষা শেষ হবে ১৮ নভেম্বর।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের সামনে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় ২৬ লাখ শিক্ষার্থী বসবে, বিরাট সংখ্যক, ম্যানেজ করা ডিফিকাল্ট। এইবারের চ্যালেঞ্জটা বেশ বড়, নির্বাচনের আগে আগে এর মাধ্যমে সরকারকে বড় ধরনের ধাক্কা দিতে পারে, আমাদের জন্যও এটা চ্যালেঞ্জ। ঘটনা ঘটার পরই পুলিশ আসে সব জায়গায়। ক্রিমিনালরা সবসময় পুলিশের থেকে এগিয়ে থাকে, অপরাধীরা কী কী করতে পারে সে ব্যাপারে সচেতন হয়ে দৃশ্যমান কিছু কাজ করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সবকিছুতে চেষ্টা করছি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারার, যদিও ক্রিমিনালরা নতুন নতুন পদ্ধতি খুঁজে। আমরা খুবই কঠোর অবস্থান নিয়েছি, এই সমস্যা চাপ দিয়ে বন্ধ করা যাবে তা নয়, মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।
পরীক্ষা নির্ভেজাল, নকলমুক্ত, প্রশ্নফাঁস মুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে নেওয়ার জন্য যা যা করার দরকার তা করা হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, গতবার শিথিলতা দেখিয়েছি, সেটি এবার দেখাতে পারবো বলে মনে হয় না। আগে আসতেই হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে কোন সেটে পরীক্ষা হবে তা কেন্দ্র সচিবকে জানানো হবে।
অনিবার্য কারণ ছাড়া শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার হলে প্রবেশ না করলে নমনীয়ভাবে বিবেচনার সুযোগ নেই বলে জানান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।
তিনি বলেন, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার হলে প্রবেশের নিয়মে বেশি কড়াকড়িতে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করতে পারেনি বলে অভিবাবকরা অভিযোগ করেছেন। অনিবার্য কারণে দেরি হতে পারে। কেউ যদি দুই বা এক মিনিট দেরি করে তাহলে তার নাম-রোল রেজিস্টার খাতায় লিখে রাখতে হবে।
‘তবে একই পরীক্ষার্থী যদি একাধিক দিন এ ধরনের দেরি করে তাহলে যাচাই করে তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মাহামুদ-উল হক, মো. জাবেদ আহমেদ ও নাজমুল হক খান এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম জাকির হোসেন ভূঞা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও ছিলেন পুলিশ, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিসহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বৈঠকে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস