শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এতে বলা হয়, ১৮ ও ১৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযাগের পরিপ্রক্ষিতে ‘গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দেওয়ার আগেই ফল প্রকাশ করেছে’ বলে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।
‘তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ সাপ্তাহিক ছুটি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক দিবসের ছুটির মধ্যেও অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রণয়ন করে গত ১৫ অক্টোবর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। ’
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঢাবি কর্তৃপক্ষ বলে, রিপোর্ট পাওয়ার পর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ১৬ অক্টোবর ঘ-ইউনিটের ফল প্রকাশ করেন। অতএব, এক্ষেত্রে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই।
গত ১২ অক্টোবর ঢাবি ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠলেও কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি। পরে প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে আটক করলে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
প্রথমে ফল প্রকাশ স্থগিত রাখলেও পরবর্তীতে ১৬ অক্টোবর ফল প্রকাশ করা হয়। ঘোষিত ফলাফল নানা অসঙ্গতি রয়েছে দাবি করে এ ফল বাতিলের দাবি জানান শিক্ষার্থী, ভর্তিচ্ছু এবং তাদের অভিভাবকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯,২০১৮
এসকেবি/আরআর