স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৮ সালে স্কুলটিতে জেএসসিতে মোট ২ হাজার ৩৭৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ২ হাজার ৩৭৩ জন, ফেল করেছে ৫ জন।
আগের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে ১ হাজার ৮৬৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ১ হাজার ৬২৬ জন। পাসের হার ছিলো ৯৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
ফলের সার্কিব চিত্র তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম বলেন, “গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি দুটোই কমেছে। যতই দিন যাবে পাসের হার কমবে। কারণ, শিক্ষার্থীদের কিছু বলতে পারবো না, ফেল করলে উঠায়া নিতে অইবো, নকল করলে কিছু বলা যাবে না... বিভিন্ন কারণ আছে না। ”
আক্ষেপ করে শাহান আরা বেগম আরো বলেন, “শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস করে না। শাস্তি দেওয়ার বিধান নেই। ফলে শিক্ষকদেরও কথা শোনে না। অভিবাককরাও সচেতন না। কোনো কিছু হলেই উপর থেকে চাপ আসে। কোথায় যাব আমরা?”
তিনি বলেন, একবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি আসছে টেস্ট পরিক্ষায় ফেল করলে পরীক্ষা দেওয়া যাবে না। আবার ক’দিন পরে চিঠি এসেছে অসুস্থ হয়ে পরীক্ষা না দিতে পারলে তাকে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। এখন পরীক্ষায় খারাপ করে অসুস্থতার সার্টিফিকেট দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। ”
৫ শিক্ষার্থীর ফেলের কারণ জানতে চাইলে শাহান আরা বেগম বলেন, “এ বছর ৫ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছে। সব ফল দেখলে বলতে পারবো কেন ফেল করেছে। তবে আমার কাছে মনে হয়, কোনো শিক্ষার্থী হয়তো একটি পরীক্ষা দিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরে বাকি পরীক্ষাগুলো দিতে পারেনি তাই ফেল হয়েছে। ”
জিপিএ কমার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, “অন্যান্য বছর অতিরিক্ত বিষয় যোগ করে রেজাল্ট দেওয়া হয়েছিলো। এবার অতিরিক্ত বিষয় বাদ দিয়ে রেজাল্ট দেওয়া হয়েছে। ফলে জিপিএ কমেছে। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
এমএফআই/এমজেএফ