এ বছরর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে (পিইসি) পাসের হার ৯৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর ইবতেদায়িতে এ হার ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
এবার ৩৭ হাজার ২০৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩ লাখ ৮০ হাজার ৫৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। যার পাসের হার ৯৮ দশমকি ১৩ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৬ হাজার ১৪৫ জন।
অপরদিকে, ২২ হাজার ২০২টি কিন্ডারগার্টেনের তিন লাখ ৮৩ হাজার ১০৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৯৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ৫৩৬ জন।
এছাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫০৩টি স্কুলের ৪৭ হাজার ২৪৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৯৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ। মডেলে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৫৮২ জন।
সেইসঙ্গে ৩৪টি বেসরকারি (রেজিস্টার) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৪১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করে ৯৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৬ জন।
পাশাপাশি এক হাজার ৮৯৫টি উচ্চ বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক লাখ ৩৯ হাজার ৮৬৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ৯৮ শতাংশ। এখানে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ৬৬ হাজার ২৮৭ জন।
আর তিন হাজার ৩৩২টি বেসরকারি (নন রেজিস্টার) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৮ হাজার ৫৪৯ জন শিক্ষার্থী পিইসিতে অংশ নিয়ে পাস করে ৯৪ দশমকি ৪৮ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৪৪৩ জন।
এ বছর চার হাজার ৯৯২টি আনন্দ স্কুলের ৮৫ হাজার ৭২০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৮৩ দশমিক ৬১ শতাংশ পাস করে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯৪ জন।
পাসের হারে সবচেয়ে এগিয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এবার ৪০টি স্কুলের ছয় হাজার ৩৩০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৯৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ পাস করে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১ হাজার ১৬৬ জন।
সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান পিইসি পরীক্ষার ফলাফল তুলে ধরেন। এ সময় প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে এ ফলাফলের সারসংক্ষেপ পর্যালোচনা করে দেখা যায়- পাসের হারের দিক থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তুলনায় কিন্ডারগার্টেন এগিয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
এসএম/টিএ