প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১ লাখ ১৭ হাজার ৫০৫ জন শিশুর মধ্যে ৪ লাখ ৭২ হাজার ৪২৪টি বই বিতরণের কথা রয়েছে। এছাড়া মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ৪৯ হাজার শিক্ষার্থী পেয়েছে নতুন বই।
মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় খাগড়াছড়ি সদরের পানখাইয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন বই শিশুদের হাতে তুলে দেন শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
এসময় পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান, পরিষদ সদস্য মংক্যচিং চৌধুরী ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে প্রাক-প্রাথমিকের পাহাড়ি শিশুদের হাতে মাতৃভাষার বই বিতরণও শুরু হয়েছে। এ বছর প্রাক-প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ৩০ হাজার ১২৯ জন চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা শিশু মাতৃভাষার বই পাবে। মাতৃভাষার বইয়ের সঙ্গে মাতৃভাষার বর্ণমালাভিত্তিক খাতাও বিতরণ করা হচ্ছে।
গত ২০১৭ সাল থেকে সারাদেশের পাঁচটি মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও পড়াশোনার উদ্যোগ নেয় এনসিটিবি। অপর দু’টি মাতৃভাষা হলো সমতলের সাদরি ও গারো।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন জানান, বইয়ের কোনো ঘাটতি নেই। মাতৃভাষার বইও পর্যাপ্ত পাওয়া গেছে এবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৯
এডি/এএ