পরীক্ষা শুরুর দিন শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষায় নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ২০১৯ সালের সিলেবাস অনুযায়ী প্রণীত প্রশ্নপত্র বিতরণের পরিবর্তে ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়। এতে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ।
রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক স্বাক্ষরিত আদেশে কেন্দ্র সচিবদের দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের যে সব কক্ষে এরূপ ঘটনা ঘটেছে সে সব কক্ষে দায়িত্ব পালনকারী কক্ষ পরিদর্শকদের পরবর্তী পরীক্ষা থেকে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
সংশ্লিষ্ট কক্ষ পরিদর্শকদের নামের তালিকা আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অপর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের যথাযথভাবে চিহ্নিত করে শিক্ষাবর্ষ অনুযায়ী পরীক্ষা কক্ষে প্রশ্নপত্র বিতরণ করতে হবে। কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটলে তার দায়ভার কেন্দ্র সচিবকে বহন করতে হবে।
কোনো কারণে পরীক্ষা আরম্ভ হতে বিলম্ব হলে অবশিষ্ট সময়ের সঙ্গে বিলম্ব সময় যোগ করে পূর্ণ সময় পরীক্ষার্থীদের দিতে হবে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করতে হবে।
কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা শেষ করে কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না। যদি বিশেষ কারণে পরীক্ষা শেষ করে কক্ষ ত্যাগ করতে চায় তাহলে প্রশ্ন নিয়ে যেতে পারবে না। পরীক্ষা শেষে প্রশ্নপত্রটি তাকে দেওয়া যেতে পারে।
কোনো প্রকার মোবাইল ফোন নিয়ে কক্ষ পরিদর্শক কিংবা পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। কেন্দ্র সচিব একটি সাধারণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন, যা দিয়ে ছবি তোলা যায় না।
আরেক নির্দেশনায় প্রশ্নপত্র বিতরণে কোনো ত্রুটি হয়ে থাকলে তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ চেয়েছেন চেয়ারম্যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ