সুকুমার রায় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বাঙালিপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর বালাপাড়ার দীনবন্ধু রায়ের (৬০) ছেলে। তার বাবা গ্রামে গ্রামে মুড়ি বিক্রি করে সংসারে অর্থ যোগান দেন।
সুকুমারের আরও বড় দুই ভাই-বোন রয়েছে। বড় ভাই বিষ্ণুপদ রায় নীলফামারী সরকারি কলেজের সম্মান শেষ বর্ষের ছাত্র। তার বোন দীপা রানী সৈয়দপুর ডিগ্রি কলেজের স্নাতক শ্রেণিতে পড়ছেন। অভাবের সংসারে ছেলে-মেয়েদের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন তার বাবা দীনবন্ধু রায়।
হতাশার সুরে দীনবন্ধু বাংলানিউজকে বলেন, দুই ছেলে-মেয়েকে লেখাপড়া শেখাতে ঠিকমতো খরচ যোগাতে পারিনা। গ্রামের স্কুল থেকে অংশ নিয়ে সুকুমার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষাতেও জিপিএ ৪.১৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। ওই ফলাফল নিয়ে হাবিপ্রবি’র ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়। মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রয়ারি) সুকুমারের ভর্তির শেষ দিন। অথচ আজও আমি টাকা যোগাড় করতে পারিনি।
এ কথা শোনার পর বাবার পাশে বসে থাকা সুকুমার কান্নায় ভেঙে পড়েন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুকুমার বাংলানিউজকে বলেন, আমি হাবিপ্রবি’র দুটি ইউনিটে চান্স পেয়েছি। ভর্তি হতে লাগবে ১২ হাজার ৬৫০ টাকা। আমার হয়তো আর উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা হলো না।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
এনটি