এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ এবং অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরাও।
চলতি বছরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১ এপ্রিল। ১ এপ্রিল থেকে ১১ মে হবে তত্ত্বীয় পরীক্ষা। আর ১২ থেকে ২১ মের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হবে।
কবি নজরুল কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, গতকাল (সোমবার) কলেজ থেকে তাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড সরবরাহ করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন কার্ড হাতে পেয়ে তাজ্জব বনে যায় শিক্ষার্থীরা। অনেকেই দেখতে পায় তাদের পছন্দের বিষয় ভুল। অর্থাৎ যে বিষয়ে নিবন্ধন করেছে সে বিষয় রেজিস্ট্রেশন কার্ডে নেই, এসেছে অন্য বিষয়। মানবিক শাখার অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থীরই এ সমস্যা হয়েছে।
কলেজের মানবিক শাখার এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে জানায়, তার পছন্দের বিষয়ও ভুল এসেছে। ইতিহাসের স্থলে এসেছে ভূগোল। আর চতুর্থ বিষয় হিসেবে যুক্তিবিদ্যা রেজিস্ট্রেশন করা হলেও কার্ডে এসেছে ইসলাম শিক্ষা।
ওই শিক্ষার্থী আরো জানায়, মানবিক শাখারই অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থীর পছন্দের বিষয় ভুল এসেছে। ১ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হলে হঠাৎ করে অন্য বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়া অসম্ভব। আর মানসিক চাপ নিয়ে পড়াশোনাও করতে পারছে না তারা।
তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয় সংশোধনের জন্য আবেদন গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কবে নাগাদ বিষয় সংশোধন হয়ে আসবে তা নিয়ে তাদের উদ্বেগের মধ্যে থাকতে হচ্ছে।
অবশ্য ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে কলেজ কর্তৃপক্ষ আবেদন করলে সংশোধন করা হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বাংলানিউজকে বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয় সংশোধনের আবেদন করতে হবে। আবেদন পাওয়া গেলে বিষয় সংশোধন করে দেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের কিছু অসাধু ও অদক্ষ কর্মচারীর খামখেয়ালিপনার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের খেসারত দিতে হচ্ছে। তাদের দাবি, দিনের পর দিন এসব কর্মচারী ইচ্ছাকৃতভাবেই এসব ভুল করে থাকেন। এসব কর্মচারীর শাস্তির পাশাপাশি দ্রুত ভুল সংশোধন করার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
এমআইএইচ/এমজেএফ