বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ভবনে হলের পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ড. জিনাত হুদা এ কথা জানান। যদিও পুনর্নির্বাচন দাবিতে বিক্ষোভ ও অনশনরত শিক্ষার্থীরা প্রভোস্টকে দেখা করে কথা বলার দাবি জানালেও তিনি তাদের অনুরোধ রাখেননি।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, ১১ তারিখ নির্বাচনের আগের দিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬টি ব্যালট বাক্স এবং ৩টি ট্রাংকসহ কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৪ হাজার ৬০৮টি এবং হল সংসদের জন্য ৪ হাজার ৬৩৮টি ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হয়। ভোটের দিন ৬টি ব্যালট বাক্স ভোট কেন্দ্রে রাখা হয়। আর বাকি ৩টি ট্রাংক ২ হাজার ৬০৮টি ব্যালট পেপারসহ পাশের রুমে রাখা হয়। এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। পরে ওইগুলো সব প্রার্থীকে দেখানোও হয়। সেগুলোতে কোনো সিল মারা ছিল না।
অনশনরত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য প্রক্টরিয়াল টিম রয়েছে। আমি নিজেও আবাসিক শিক্ষকদের পাঠিয়েছি, যেন ওদের নিরাপত্তায় কোনো ব্যাঘাত না ঘটে। আমি নিজেইতো তিন রাত ঘুমাতে পারিনি ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে।
অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে দায়ের করা মামলা, পুনর্নির্বাচন ও প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে জিনাত হুদা বলেন, হল কর্তৃপক্ষ বা আমার দ্বারা কারও বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। ছাত্রীদের আমার কাছে আসতে হবে। আমি ওদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। ওদের কথা বলার জন্য ডেকেছিও। কিন্তু ওরা কথা বলতে আসেনি।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পদত্যাগ করবেন কি-না, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি ড. জিনাত হুদা। সংবাদ সম্মেলনে হলের হাউজ টিউটররা উপস্থিত ছিলেন।
১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের সময় রোকেয়া হলে অনিয়মের দাবি তোলে ফল প্রত্যাখ্যান করেন শিক্ষার্থীরা। তারা পুনর্নির্বাচন ও প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
এসকেবি/এইচএ/
** রোকেয়া হলের প্রভোস্টকে পদত্যাগ করতে হবে: ডাকসু ভিপি