বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) তৃতীয় দিনের মতো অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। দাবি না মানা পর্যন্ত এভাবেই অনশন পালন করবেন ডাকসুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রথমবারের মতো রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন সাত শিক্ষার্থী। বুধবার আলাদাভাবে রোকেয়া হলের আমরণ অনশনে বসেন হলের আরো পাঁচ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে রাজু ভাস্কর্যে বসা শিক্ষার্থীদের একজন অসুস্থ হয়ে প্রথমে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হন, পরে হলে নিয়ে আসা হয় তাকে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে দেখা যায়, সাদা কাপড় ও কাঠের খুঁটি দিয়ে ছাউনি তৈরি করা হয়েছে। ‘একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আমরণ অনশন’ ব্যানার টাঙিয়ে রাখা হয়েছে সেখানে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তীব্র রোদের কারণে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গরমে অনশনকারীদের ডিহাইড্রেশনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। যার কারণে তাদের সাধারণ ও ডাবের পানি খাওয়ানো হচ্ছে। সকাল থেকেই রাজু ভাস্কর্যে সংহতি জানিয়ে অনশনকারীদের পাশে অবস্থান করতে দেখা যায় অনেক শিক্ষার্থীকে।
অনশনের বিষয়ে আল মাহমুদ তাহা বলেন, আমরা চাই ডাকসুর ঐতিহ্য টিকে থাকুক। কিন্তু যেভাবে নির্বাচনে কারচুপি করা হয়েছে সেটা ডাকসুর ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই পুনরায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। পুনরায় নির্বাচন না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের আমরণ অনশন চলবে।
অপরদিকে রোকেয়া হলের সামনে অনশন করা শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানান ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর। এসময় অনশনকারীরা বলেন, আমাদের প্রভোস্ট কথা বলেননি। এখন আমাদের সঙ্গে ভিসি স্যারের দেখা করতে হবে এবং দাবি মানতে হবে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনশন ভাঙানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বাংলানিউজকে বলেন, রোকেয়া হলের ছাত্রীদের বিষয়ে কথা হচ্ছে। প্রভোস্ট আর আমি গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবো।
রাজু ভাস্কর্যে থাকা শিক্ষার্থীরাও ইতিবাচক সাড়া দেবে বলে তিনি আশা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
এসকেবি/এএ