শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে পুনর্নির্বাচন চেয়ে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে এসে তিনি এ কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হোসেন।
শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নবনির্বাচিত ডাকসু নেতাদের সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
নুরুল হক নুর বলেন, আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনের নামে সন্ত্রাসীদের হাতে বারবার রক্তাক্ত হয়েছি। তখন আমার এ ভাই-বোনরাই আমার পক্ষে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং তারা না চাইলে দায়িত্ব গ্রহণ কিংবা দেখা করতে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
তিনি বলেন, অনিয়ম কারচুপির পরেও নির্বাচনে বিজয়ীদের প্রধানমন্ত্রী চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এখন সেটা সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি একা বললে তো হবে না, এখানে আরো অনেকে রয়েছেন যারা স্বতন্ত্রভাবে মেয়েদের হলে নির্বাচিত হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্যানেলগুলো রয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে এরপর সিদ্ধান্ত জানাতে হবে যে, যাবো কিনা।
ব্যাক্তিগতভাবে যাওয়ার পক্ষে ইতিবাচক উল্লেখ করে ডাকসু ভিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়েও ওনার দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের ছাত্রদের সমস্যা, ছাত্ররা পুনর্নির্বাচন চায়। যেন আমরা আমাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরতে পারি। তবে আমি আমার আন্দোলনকারী ভাই-বোনদের সঙ্গে কথা বলে এবং যারা এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে ফাইনাল ডিসিশন নেবো। কারণ তারা যদি রাজি না হন তাহলেতো আমি যেতে পারবো না। আশা করি তারা হয়তো রাজি হবে। এসময় বর্তমানে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত নেই বলেও জানান নুর।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৯
এসকেবি/জেডএস