শনিবার (১৬ মার্চ) বেলা ২টা ৫০ মিনিটে নুর নিজেই বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান। নুরের সঙ্গে আলাদা গাড়িতে যাচ্ছেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদের প্যানেল থেকে যারা ডাকসু ও হল সংসদে নির্বাচিত হয়েছেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের লালরঙা বাসে করে গণভবন অভিমুখে রওনা দিয়েছেন।
এদের মধ্যে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ডাকসুর সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন রয়েছেন। তাদের নেতৃত্বে আছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনও।
হল সংসদের ২৩৪ জন নির্বাচিত প্রতিনিধিও গণভবনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন।
গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ডাকসুর ২৫ পদের মধ্যে ২৩ পদে জয়ী হন ছাত্রলীগের প্যানেলের নির্বাচিত নেতারা। সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হন কেবল নুর ও আকতার।
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এই প্রেক্ষাপটে ভিপি পদে নুর দায়িত্ব নেবেন কি-না, তা নিয়ে আলোচনা তৈরি হওয়ার মধ্যে ডাকসুতে নির্বাচিতদের গণভবনে চায়ের আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী।
এই আমন্ত্রণ পেয়ে নুর বলেন, অনিয়ম কারচুপির পরও নির্বাচনে বিজয়ীদের প্রধানমন্ত্রী চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এখন সেটা সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। স্বতন্ত্র প্যানেলগুলো রয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে এরপর সিদ্ধান্ত জানাতে হবে- আমরা যাবো কি-না।
পরে পুনর্নির্বাচন দাবিতে আন্দোলনকারীদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়- নির্বাচিতরা গণভবনে যাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই চায়ের অনুষ্ঠানে ডাকসুর নেতারা ছাড়াও থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (প্রোভিসি) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ, প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ ও শিক্ষক নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
এসকেবি/এইচএ/