সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ৫২তম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচনের নানা ত্রুটির কথা শুনেছি।
ডাকসু নেতাদের ছাত্রদের কল্যাণে কাজ করায় গুরুত্বারোপ করে আবদুল হামিদ বলেন, এখন তাদের নিয়ে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। এর বেশি কিছু বলে কাউকে হেয়প্রতিপন্ন করতে চাই না।
চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, মেডিসিন বিদেশের জন্য একভাবে তৈরি করা হয়, ঢাকার জন্য একভাবে তৈরি করা হয়, গ্রামাঞ্চলের মানুষের জন্য আরেকভাবে তৈরি করা হয় ছাত্রসমাজকে বিষয়টি রুখে দাঁড়াতে হবে। মেয়াদ শেষ হওয়া ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সজাগ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অনাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায় কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও শিক্ষার্থীদের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়া করে জ্ঞান অর্জনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, মরদেহ হয়ে বা বহিষ্কৃত হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য নয়। আমি আশা করবো, ভবিষ্যতে কর্তৃপক্ষ সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নেবে। ’
গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে আবদুল হামিদ বলেন, ‘তোমাদের মা-বাবা অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তোমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছেন। এমন অনেক পরিবার আছেন যারা সর্বস্ব দিয়ে তাদের ছেলে-মেয়েদের মানুষ করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান। তোমাদের মূল দায়িত্ব হলো লেখাপড়া করা এবং দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলা। তোমরা এমন কোনো কাজ করবে না যাতে তোমাদের পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের সম্মান ক্ষুন্ন হয়।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল্লাহ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিনেট, সিন্ডিকেট, হল প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
সমাবর্তন বক্তা ছিলেন জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের কসমিক রে রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. তাকাকি কাজিতা। অনুষ্ঠানে তাকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব সায়েন্স’ ডিগ্রি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
এসকেবি/একে/ওএইচ/