রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ষষ্ঠ সমাবর্তনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেন, ‘গবেষণা বাড়াতে হবে এবং তা হতে হবে আন্তর্জাতিকমানের এবং জীবনমুখী, যা মানবকল্যাণে নিবেদিত হয়।
‘উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটি সফল গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবিত জ্ঞান মানবজাতির কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। চিকিৎসাসহ জীবন সহজ করতে পারে। গবেষণার ফল যাতে লাইব্রেরিতে বন্দি না থেকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে লাগে তা নিশ্চিত করতে হবে। ’
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য জাতিকে যেমন অনুপ্রাণিত করে, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপ্রত্যাশিত ঘটনা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। শিক্ষক যখন তার মহান আদর্শ থেকে দূরে চলে যান, তখন শিক্ষার্থীদের মধ্যে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ’
দেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সমার্বতন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।
আর সমাবর্তন বক্তা ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজবিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. অনুপম সেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অর্জনসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন খুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।
এ সময় মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্য, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র, সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের সমাবর্তনে ৪ হাজার ৪৭৮ জনকে স্নাতক, ২ হাজার ৫৩০ জনকে স্নাতকোত্তর, ৫ জনকে এম ফিল ও ৮ জনকে পিএইচডি এবং ১৭ জনকে পোস্ট-গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ডিগ্রি দেওয়া হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদে পরীক্ষার ফলে ‘অসামান্য কৃতিত্বে’র জন্য ২৩ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগে রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ‘কালজয়ী মুজিব’ এর উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
এমআরএম/এমএ