সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ডাকসুর সাবেক নেতারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ডাকসু ভবনে রোববার (২২ ডিসেম্বর) ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ দফায় দফায় নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে। সন্ত্রাসীদের নির্মম হামলায় ডাকসু ভিপি নুরসহ ২৬ ছাত্র আহত হয়েছেন এবং এদের একজন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় লাইফসাপোর্টে চিকিৎসাধীন।
তারা বলেন, বিরোধীপক্ষ ও ভিন্নমতকে নিষ্ঠুরভাবে দমন-নির্মূল করার হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের অংশ হিসেবেই এই ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা গোটা জাতিকে হতভম্ব ও বিস্মিত করেছে। এর আগেও একই গোষ্ঠী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলসহ অন্য ভিন্ন মতাবলম্বী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, ভিসি ও প্রক্টরের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করে ৯০-এর ডাকসু নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ, সব গণতান্ত্রিক সংগঠনের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করায় বর্তমান প্রশাসন চরম ব্যর্থ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিরাপত্তা বিধান না করে ভিসি-প্রক্টর সরকারী ছাত্রসংগঠনের সন্ত্রাসীদের প্রত্যক্ষভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে দেশবাসীর কাছে নিজেদের পদের ভাবমূর্তি ও সম্মানকে কলঙ্কিত করেছেন। ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা বিধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যর্থতার দায়ে অবিলম্বে ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ চাই।
ডাকসুর তৎকালীন জিএস খায়রুল কবির খোকনের পাঠানো বিবৃতি আরও সই করেন ৯০-এর ডাকসু ভিপি আমানউল্লাহ আমান, ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান হাবীব, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফ উদ্দিন আহমেদ মনি, খন্দকার লুৎফর রহমান, সালাহউদ্দিন তরুন, আসাদুর রহমান আসাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
এমএইচ/একে