এ র্যাংকিংয়ের লক্ষ্য হলো বিশ্বজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গ্রিন ক্যাম্পাস ও টেকসই উন্নয়ন সম্পর্কিত নীতিমালার কতোটা প্রতিফলন হচ্ছে, তা প্রকাশ করা। প্রতিবছর মোট ছয়টি মানদণ্ডের ভিত্তিতে এ র্যাংকিং প্রকাশ করে নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিনজেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রিসার্চ।
পরিবেশ উন্নয়নে ও পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস নির্মাণের লক্ষ্যে আইইউবিএটির প্রতিষ্ঠাতা ড. এম আলিমউল্যা মিয়া সর্বপ্রথম ২০০৮ সালে আইইউবিএটিকে গ্রিন ক্যাম্পাস হিসেবে ঘোষণা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ইউআই গ্রিন মেট্রিক ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং-২০১৯-এ বাংলাদেশে দ্বিতীয় শীর্ষস্থান অর্জন করলো এ প্রতিষ্ঠান।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) এ উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আইইউবিএটি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আইইউবিএটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জুবায়ের আলিম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন- উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুর রব।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- আইইউবিএটি ইনস্টিটিউট অব এসডিজি স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক আতাউর রহমান। এছাড়া ইউআই গ্রিন মেট্রিক ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং-২০১৯ নিয়ে প্রেজেন্টেশন দেন হাসানুজ্জামান তুষার।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হামিদা আখতার বেগম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ার, কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
আইইউবিএটির প্রশংসা করে উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, শিক্ষার মান নিশ্চিত করার পূর্ব শর্ত হলো শিক্ষার যথাযথ পরিবেশ নিশ্চিত করা, আর তা শতভাগ পূরণ করেছে আইইউবিএটি। আইইউবিএটির ইউআই গ্রিন মেট্রিক ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ে ২৪১তম অবস্থান বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সম্মান।
‘আন্তর্জাতিক ও বৈশ্বিক কর্মক্ষেত্রের জন্য এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শিক্ষায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সম-উন্নয়ন, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সবার একীভূত শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা। এ ব্যাপারেও কাজ করছে আইইউবিএটি। দেশের প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার মানের সঙ্গে ভালো পরিবেশ নিশ্চিত করলে আমরা সারা বিশ্বে উদারহণ হয়ে থাকবো। আমাদের দেশ আমাদের পরিবেশ আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। ’
উপমন্ত্রী আরো বলেন, আজকের বিশ্ব সবচেয়ে বড় যে সমস্যার সম্মুখীন, তা হলো- পরিবেশের পরিবর্তন। বর্তমান বিশ্বের সবখানে আমরা পরিবেশের পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। পরিবেশের এ পরিবর্তন ঘটবে স্বাভাবিকভাবে। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বে পরিবেশের যে সব পরিবর্তন ঘটছে তা মোটেও কোনো স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার ফল নয়। মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলেই পরিবেশের অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটছে। বর্তমানে বিশ্বে পরিবেশের পরিবর্তনের কারণে যে সব সমস্যা ও বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, সেগুলো নিয়ে সারা পৃথিবীর মানুষ শঙ্কিত। এর মধ্যে আইইউবিএটির এমন অর্জন আমাদের গর্বের বিষয়। আশা করবো ভবিষ্যতেও এ অর্জনের ধারা অব্যাহত থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য আবদুর রব বলেন, আইইউবিএটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯১ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও আইবিএর সাবেক পরিচালক শিক্ষাবিদ ড. এম আলিমউল্যা মিয়া এর প্রতিষ্ঠাতা। আইইউবিএটির প্রত্যয় হলো- যোগ্যতাসম্পন্ন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য উচ্চ শিক্ষার নিশ্চয়তা, প্রয়োজনে অস্বচ্ছল মেধাবীদের অর্থায়ন। রাজধানীতে অবস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবুজঘেরা একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবিএটি। ঢাকার উত্তরায় ১৯ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়। সুন্দর লোকেশন, পরিবেশ, আয়তন সবদিক দিয়েই আইইউবিএটি ক্যাম্পাস এগিয়ে। হাজারও মেধাবী শিক্ষার্থীর পদচারণায় প্রতিদিন মুখরিত হয় এ ক্যাম্পাস। পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে সবুজের ছোঁয়া। আইইউবিএটির লক্ষ্য হচ্ছে, উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনার মাধ্যমে মানব সম্পদ উন্নয়ন করা, যাতে করে শিক্ষার্থীরা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। শিক্ষার মানের সঙ্গে পরিবেশের মান রক্ষা করার কারণেই ইউআই গ্রিন মেট্রিক ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং-২০১৯ অর্জন করতে পেরেছি আমরা। আগামীতে এ অর্জনের ধারা অব্যাহত রেখে সারা বিশ্বের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়য়গুলোর মধ্যে স্থান করে নেওয়ার জন্য কাজ করছি আমরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
এইচজে