নীলফামারী: ‘অদৃশ্য’ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা: ইউজিসি’ শিরোনামে বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় পর নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে লাগানো সাইনবোর্ড খুলে ফেললেও সৈয়দপুর-দিনাজপুর বাইপাস সড়কের সাইনবোর্ডটি এখনো ঝুলছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু সড়কে বিশ্ববিদ্যালয়টির অফিসে গিয়ে দেখা যায়, অফিস তালাবদ্ধ। কয়েক বছর ঘরটি ভাড়া নেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) পরিচয়দানকারী অধ্যাপক ড. এবিএম শরিফুজ্জামান শাহ। ভাড়াও ঠিকমতো দেননি বলে জানান ভবনটির মালিক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। তবে সরকারি খাস জমিতে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানটির স্থান নির্ধারণ করা হয়। তখন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত আখতার হোসেন বাদল, সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক উপস্থিত ছিলেন। প্রথম দিকে সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনকেও রাখা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনার জন্য গঠন করা হয় একটি কমিটি। সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন জানান, বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসা শুরু করায় আমি সরে এসেছি।
এদিকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে পত্রিকায় এমন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর বিষয়টি ইউজিসির নজরে আসে। প্রতিটি পদের জন্য আবেদনের সঙ্গে অফেরতযোগ্য ৫০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট চাওয়া হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে। ইউজিসি সাফ জানিয়ে দেয়, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই। এতে করে অনেকে প্রতারণার হাত থেকে বেঁচে যান।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) পরিচয়দানকারী অধ্যাপক ড. এবিএম শরিফুজ্জামান শাহের কয়েক দফা যোগাযোগ করা হলেও কেউ কিছু বলতে পারেনি। মোবাইলে ফোন দেওয়া হলেও নম্বরটি বন্ধ থাকায় কোনো মতামত পাওয়া যায়নি।
>>>অননুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ, খতিয়ে দেখছে মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
এনটি