ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

ফেনীতে খোলেনি অর্ধশতাধিক কিন্ডারগার্টেন, বেকার হাজারো শিক্ষক

সোলায়মান হাজারী ডালিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
ফেনীতে খোলেনি অর্ধশতাধিক কিন্ডারগার্টেন, বেকার হাজারো শিক্ষক

ফেনী: প্রায় ১৮ মাস পর সারাদেশে খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফেনীতেও প্রাথমিক বিদ্যালয়,  স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে মোট ৮৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে।

অপরদিকে নাজুক অবস্থায় রয়েছে কিন্ডারগার্টেনগুলো। সারা জেলায় এরই মধ্যে অর্ধশতাধিক কিন্ডারগার্টেন স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। আরও ১৫০টির অবস্থা নিবু নিবু। বেকার হয়েছেন এক হাজারেরও বেশি শিক্ষক।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফেনী জেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম মামুনুর রশিদ।

তিনি জানান, ফেনীতে প্রায় তিনশো কিন্ডারগার্টেন স্কুল আছে। করোনার ছোবলে এর অধিকাংশের অবস্থা শোচনীয়। উদ্যোক্তারা ব্যয়ভার বহন করতে না পেরে প্রতিষ্ঠান গুটিয়ে নিয়েছেন।

তিনি জানান, করোনার কারণে এরই মধ্যে শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে আলহ্বাজ শামছুল হক ভূঞাঁ আদর্শ একাডেমি, পাগলা মিয়া সড়কে প্রাইম আইডিয়াল একাডেমি, শিক্ষা নিকেতন ইনস্টিটিউট, ইস্ট ওয়েস্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও সৃজনী গ্রামার স্কুল এরকম বেশ কয়েকটি কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে।

উদ্যোক্তা তাজ উদ্দিন পলাশ জানান, শহরের পাগলা মিয়া সড়কের পাশে প্রাইম আইডিয়াল স্কুল নামে তার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো। করোনার কারণে শিক্ষার্থী কমে যাওয়াসহ দুই লাখ টাকারও বেশি আর্থিক ক্ষতি হওয়ার পর স্কুলটি কোনোভাবেই টিকিয়ে রাখা যায়নি, বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

শহরের বিরিঞ্জি এলাকার কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ ও ফেনী জেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল বারেক বলেন, তার দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো। এর মধ্যে একটি ৭ তলা ভবনের আবাসিক স্কুল। করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় আবাসিক ক্যাম্পাস আর রাখা সম্ভব হয়নি। ক্রমাগত আর্থিক ক্ষতির কারণে বন্ধ করে দিতে হয়েছে। বাড়িভাড়া বেশ কয়েক লাখ টাকা বাকি পড়েছে।

ফাহাদ আবেদীন নামের এক কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক বলেন, প্রায় দেড় বছর যাবত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে না পারায় উদ্যোক্তারা তাদের স্কুলটি বন্ধ করে দিয়েছেন। যার কারণে এখন বেকার হয়ে গেছেন।

তিনি জানান, স্কুলে চাকরি করে, প্রাইভেট পড়িয়ে টেনেটুনে কোনো রকমে সংসার চলতো। চাকরি যাওয়ায় এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

জয়নাল আবেদীন নামে শহরের মাস্টার পাড়া এলাকার এক অভিভাবক বলেন, ভালো পড়ালেখার কথা চিন্তা করে ছেলেকে কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি করিয়েছিলেন। করোনার কারণে স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায়। এখন তিনি পড়েছেন বিপাকে। তাই বাধ্য হয়েই বাচ্চাকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করাবেন বলে মনস্থির করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
এসএইচডি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।