ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচনী অ্যাপ তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে ১৫ কোটি টাকা

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩
নির্বাচনী অ্যাপ তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে ১৫ কোটি টাকা

ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সমন্বিত একটি অ্যাপ তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য ব্যয় হচ্ছে ১৫ কোটি টাকা।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এতে হার্ডওয়্যারের জন্য সাত কোটি এবং সফটওয়্যার ও অন্যান্য খাতে ব্যয় হবে আট কোটি টাকা।

নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অ্যাপ নামের এই সিস্টেমটিতে থাকছে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা। এছাড়াও থাকবে ভোটার নম্বর, ভোটকেন্দ্রের নাম ও এলাকার নাম। এতে একজন ভোটার সহজেই তার ভোটার নম্বর ও কেন্দ্রের নামসহ অবস্থান জানতে পারবেন।

বর্তমানে নির্বাচন কমিশন প্রার্থী ব্যবস্থাপনা সিস্টেম এবং ফলাফল ব্যবস্থাপনা সিস্টেম নামে দুটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে। নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা অ্যাপটি উন্মুক্ত হলে কোনো নির্বাচনে প্রার্থী কে, কাদের মনোনয়নপত্র বৈধ কিংবা অবৈধ হলো, কারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেন, কোনো প্রার্থীর প্রতীক কী ইত্যাদি জানা যাবে।

অন্যদিকে নির্বাচনী ফলাফলও পাওয়া যাবে অ্যাপটিতে। এতে ভোট চলাকালীন একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর থাকবে ভোটার উপস্থিতির তথ্য। রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণার পরপর পাওয়া যাবে ফলাফলের হালনাগাদ তথ্য।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ বিষয়ে বলেন, অনলাইন নমিনেশনের পেপার জমা দেওয়ার ব্যবস্থার সঙ্গে আরও ছয়টা মডিউল আছে। এটা শিগিগির জানতে পারবেন। সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ কমিশন এটা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দেবে। স্মার্ট ফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করে এনআইডি নম্বর দিলে প্রয়োজনীয় তথ্য জানা যাবে।

তিনি বলেন, এজন্য ১৫ কোটি টাকার মতো ব্যয় হচ্ছে। সাত কোটি টাকা হার্ডওয়্যারের জন্য। আর যে প্রতিষ্ঠান থেকে করা ওদের হয়তো ৮ কোটি টাকার দিতে হবে। সবমিলিয়ে ১৫ কোটি টাকা লাগবে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর তফসিল ঘোষণা করতে হবে নভেম্বরের প্রথমার্ধে। যেহেতু নমিনেশন পেপার অনলাইনে দাখিলের সুযোগ রাখা হবে। তাই তফসিল ঘোষণার আগেই অ্যাপটি চালু হবে।

তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ নির্বাচনের জন্য অ্যাপটি তৈরি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে পরবর্তী কমিশন যদি মনে করেন, এটা কন্টিনিউ করবে, তাতে তারা এটি রাখবে। অন্যথায় রাখবে না।

গত ১৬ আগস্ট ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। এবার ৪২ হাজার ৪০০টির মতো ভোটকেন্দ্র হতে পারে। আর ভোটকক্ষ হতে পারে দুই লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টি।

বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন। আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ও ভোটারের নম্বর পাওয়া যাবে নির্বাচনী অ্যাপে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৩
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।