ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আ.লীগের বর্ধিত সভা বন্ধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আ.লীগের বর্ধিত সভা বন্ধ

বরগুনা: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বরগুনার আমতলী উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আবু জাহের এ সভার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভা রোববার সকাল ১০টায় পৌর শহরের আব্দুল্লাহ মার্কেটে শুরু হয়। সভা স্থানে ছয়টি মাইক ব্যবহার করে সভার কার্যক্রম চালানো হচ্ছিল। সভা সফল করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসেন দলের নেতা-কর্মীরা। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি চরম লঙ্ঘিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।  

পরে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির ১০৯ বরগুনা-১ চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আহম্মদ সাইদ সভাস্থালে উপস্থিত হন। তার নির্দেশে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হওয়ায় বর্ধিত সভার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আবু জাহের।

আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন- সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

স্বতন্ত্র প্রার্থী বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য গোলাম সরোয়ার ফোরকান বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভার নামে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সভামঞ্চে এসেছেন। এটা আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন। আচরণবিধিতে মাইক ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা তা মানছেন না। সভায় মেয়র মতিয়ার রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে না বলে হুমকি দেন। এটা আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানই।

পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, বিশেষ বর্ধিত সভা আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীণ সভা ছিল। সভায় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া হয়নি বা আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় এমন কোনো কার্যক্রম করা হয়নি সভায়।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা প্রশাসন আমাদের মাইক ব্যবহার বন্ধ করতে ও জনসমাগম কমাতে বলেছেন আমরা প্রশাসনের নির্দেশ মত মাইক বন্ধ করে দিয়েছি।  

আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আবু জাহের বলেন, অননুমোদিত নির্বাচনী সভায় জনসমাগম, আচরণবিধি লঙ্ঘন ও উসকানি মূলক বক্তব্য দেওয়ায় সভার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আহম্মদ সাইদ বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে উপজেলা প্রশাসনকে সভার কার্যক্রম বন্ধের আদেশ দিয়েছি। এ ব্যাপারে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।