ঝালকাঠি: ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা এম মনিরুজ্জামান মনির।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলে ১% ভোটারদের তথ্যের বিষয়ে প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার ফারাহ্ গুল নিঝুম।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনিরুজ্জামান মনির প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থি ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তমের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল অনুযায়ী ৩ ডিসেম্বর সকালে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বর্তমান এমপি বজলুল হক হারুন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১% সমর্থকের স্বাক্ষরে গড় মিলের অভিযোগে এম মনিরুজ্জামান মনিরসহ ছয়জনের মনোনয়নপত্র বাদ পড়ে। পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেন সিইসির আপিল বিভাগে। আপিলের তৃতীয় দিনের শুনানিতে প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।
খবরটি রাজাপুর-কাঠালিয়া এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নির্বাচনী এলাকায় উৎসবের আমেজ শুরু হয়। শুরু হচ্ছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তবে সবারই মন্তব্য এবার নির্বাচন জমবে। একজন সাবসেক্টর কমান্ডার আরেকজন মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম। স্বাধীনতা স্বপক্ষের দুই ব্যক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উৎসবমুখর ভোট অনুষ্ঠিত হবে রাজাপুর-কাঠালিয়ায়।
এম মনিরুজ্জামান মনির জানান, আমি দলীয় মনোনয়নপত্র চেয়েছিলাম। নেত্রী যেটা ভালো মনে করছেন সেটাই করছেন। তবুও তিনি সারাদেশে চেয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলাম। জেলা রিটার্নিং অফিসার সামান্য কারণে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এতে রাজাপুর-কাঠালিয়াবাসী আশাহত হন। জনসাধারণের মুখের দিকে চেয়ে প্রার্থিতা ফিরে পেতে সিইসির কাছে আপিল করেছিলেন। আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
এসএম