কক্সবাজার: কক্সবাজারের চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত মো. সালাহউদ্দিন আহমদ ঋণখেলাপির অভিযোগে নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। ঋণখেলাপির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া অর্থঋণ আদালতের আদেশে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সালাহউদ্দিন আহমদের আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ আদেশের ফলে ঋণখেলাপির তালিকায় আছে সালাহউদ্দিন আহমদের নাম। যে কারণে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
অন্যদিকে এ আসন থেকে নির্বাচন করবেন কল্যাণ পার্টির সদ্য বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান সৈয়দ ইবরাহিম। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে দীর্ঘদিন ধরে মাঠে ছিল বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। পাশাপাশি সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ছিলেন দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।
কিন্তু গত ২২ নভেম্বর হঠাৎ করেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। ওই দিনই তাকে ১২ দলীয় জোট থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ আদালতে সালাউদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও আহসানুল করিম। জনতা ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
জনতা ব্যাংকের আইনজীবী পরে সাংবাদিকদের বলেন, ঋণখেলাপির তালিকায় সালাউদ্দিন আহমেদের নাম থাকলে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
তবে সালাউদ্দিনের আইনজীবী জানিয়েছেন, মনোনয়ন টেকাতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা হবে।
গত ৩ ডিসেম্বর ঋণখেলাপির তালিকায় নাম থাকায় কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা প্রশাসক। এরপর সালাউদ্দিন আহমদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থঋণ আদালত তার নাম ঋণখেলাপির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে আদেশ দেন।
এই আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে জনতা ব্যাংক।
শুনানির পর হাইকোর্ট অর্থঋণ আদালতের আদেশ স্থগিত করেন। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন সালাউদ্দিন। এই আবেদনে শুনানির পর হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন সর্বোচ্চ আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
এসবি/এফআর