ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ ভাদ্র ১৪৩২, ২১ আগস্ট ২০২৫, ২৬ সফর ১৪৪৭

নির্বাচন ও ইসি

ভোটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় স্কুলের ছাত্রদের নিয়োগ চায় এবি পার্টি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:১২, আগস্ট ২০, ২০২৫
ভোটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় স্কুলের ছাত্রদের নিয়োগ চায় এবি পার্টি কথা বলছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্কুলের ছাত্রদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত করতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দাবি জানাল আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।

বুধবার (২০ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এমন দাবির কথা জানান দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

তিনি বলেন, সিইসির সঙ্গে বৈঠকে আমরা নয় দফা প্রস্তাব করেছি। আমরা মনে করছি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যা আছে পুলিশ, আনসারসহ অন্যরা তা মোকাবিলা নাও করতে পারেন। এজন্য আমরা প্রস্তাব করেছি স্কুলছাত্রদের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত করার। পুলিশ, আর্মির পাশাপাশি যারা ভোটার না, যারা গণঅভ্যুত্থানেও যারা ভূমিকা রেখেছেন ছাত্রীসহ তাদের কথা বলেছি, সিইসি অ্যাপ্রিশিয়েট করেছেন। তিনি বলেছেন খুবই ভালো আইডিয়া।

এবি পার্টি প্রধান বলেন, ভোটে ২৫ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় করা যায়। আমরা বলেছি কাটছাঁট করার জন্য। কিন্তু ইসি তা করছে না। পোস্টার নিষিদ্ধ করে ইসি নিজেই ছাপাতে পারে কি না। যত্রতত্র পোস্টার না রাখলে পরিবেশের ক্ষতি হবে না, আবার ব্যয়ও করবে।

তিনি বলেন, ভোটের দিন ভোটারদের কেন্দ্রে আনা, পোলিং এজেন্টদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রার্থীরা ব্যয় করেন। ভোটারদের আনা-নেওয়া এবং আপ্যায়নের ব্যবস্থা যদি ইসি করেন, প্রার্থীর খরচ কমে যাবে। তখন আর মিথ্যা তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।  

এ ছাড়া আমরা বলেছি ভোট সেন্টার মাঠে না করে উন্মুক্ত স্থানে করা যায় কি না। খোলামেলা থাকলে ভোট চুরি হবে না। খোলা মাঠে হলে সাংবাদিকসহ অন্যদের মনিটরিং সহজ হবে।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, প্রবাসীদের ভোটের ব্যবস্থা কথা বলেছি। একইসঙ্গে দ্বৈত নাগরিকরা যেন প্রার্থী হতে পারে সে দাবি করেছি। কেননা, দ্বৈত নাগরিকরা বিচার হচ্ছেন। আমাদের উপদেষ্টা পরিষদেও আছেন। দ্বৈত নাগরিকরা প্রার্থী হলে আমরা ভালো সংসদ সদস্য পাবো।  

তিনি আরও বলেন, আমরা একটা পার্লামেন্টই কার্যকর করতে পারিনি। তাই পার্লামেন্টের দুইটা হাউজের বিরোধিতা করেছি। এখন যেহেতু সবাই বলছে, আমরা আপার হাউজে পিআর চেয়েছি। এটা না হলে দুইটা হাউজের প্রস্তাবটার সমর্থন প্রত্যাহার করে নেবো। এ ছাড়া পাশাপাশি আমরা দুইশ আসনে বর্তমান পদ্ধতি বাকি একশ আসনে পিআর হতে পারে এমন বলেছি। ইসিকে বলেছি ঢাল-তলোয়ারহীন নিধিরাম সর্দার না হোন। কিভাবে কারচুপি হয় তা আমরা তুলে ধরেছি। এজন্য কঠোর হতে বলেছি এবং প্রচারের জন্য বলেছি। তারা শক্ত অবস্থান নেবেন বলে জানিয়েছে।

ভোটের দায়িত্বে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশের কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে। অভ্যুত্থানের পরেও আমরা দেখেছি কিশোরদের গ্রহণযোগ্যতা বেশি। আমরা বলেছি পাইলট করে এক্সিকিউট করতে আমরা বলবো না যে থ্রেট অ্যানালাইসিস না করে এটা করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু ভোট করার জন্য নয় ভোটকেন্দ্রে আনাও ইসির দায়িত্ব। তাই ইসির কাছে তাদের আনতে প্রস্তাব করছি।

ভোট নিয়ে সংশয়ের বিষয়ে এই নেতা আরও বলেন, সরকারের প্রধান বলেছে ভোট হবে, সিইসি বলেছেন ভোট হবে, দলগুলোর অনেকে বলছে ভোট হবে; এখন যারা বলছে ভোট হবে না, তাদের কনসার্স একটু গুরুত্বপূর্ণ। যারা ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে তাদের কনসার্ন পূরণ করেই ভোট এই সময়ের করা সম্ভব। বিচার, জুলাই সনদ এগুলো সম্ভব। তবে এগুলো না হলে ভোট হতে দেওয়া যাবে না এটাতে আমরা বিশ্বাসী না।

ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।