জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে কি, হবে না জনমনের এমন সংশয় উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ফেব্রুয়ারিতে ভোট হবে কিনা এ সংক্রান্ত আলোচনা চলছে। বিষয়টি সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিইসি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন করার জন্যই প্রস্তুতি। আমাদের চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথমার্ধে নির্বাচন করার জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, আমরা জোরেশোরে নিচ্ছি। প্রধান উপদেষ্টা এখন নিউইয়র্কে। তিনি যার সাথে দেখা করছেন তাকেই বলছেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। আমি গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চাই এবং একটা সুন্দর নির্বাচন, ঐতিহাসিক নির্বাচন দিতে চাই। ’ উনার এই কথাগুলোকে বাস্তবায়ন করার জন্যই আমরা কার করছি, যাতে একটা ঐতিহাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, আমরা যত ভালোই করি, আপনারা (গণমাধ্যম) যদি উল্টো বলেন তাহলে সব বরবাদ হয়ে যাবে। আপনাদের সহযোগিতা লাগবে, আমাদের আন্তরিকতা নিয়ে আপনারা একটু মানুষকে বোঝাবেন যে আমরা আন্তরিক আছি। আমরা কারো কোনো কথায় চলতে চাই না। আমরা বিবেকের তাড়নায় চলতে চাই। আইন-কানুন, কনস্টিটিউশনের মতো চলতে চাই। এবং একটা সরল সোজা পথে চলতে চাই। কোনো বাঁকা পথে নয়। কাউকে কোনো ফেভার করার জন্য না। একেবারে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে চাই।
রাজনৈতিক দলগুলো একটা ভালো নির্বাচনের নিয়তে মাঠে নামবেন এমন মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই বিশ্বাস আমার আছে। কারণ, এটা বিশাল একটা বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা এই অবস্থায় আছি। একটা ক্রান্তিলগ্নে আছি। দেশের যে ক্রান্তিলগ্ন যাচ্ছে এটা উনারা (রাজনৈতিকরা) জানেন। কেউ আমাকে এ পর্যন্ত বলেন নাই, আমি ফাউল খেলার নিয়তে ইলেকশনে যাব, ইলেকশনে ভোট ডাকাতি করবো, সন্ত্রাস করবো, এমন কথা কোনো রাজনীতিবিদ বলেন নাই। সুতরাং আমি ধরে নিচ্ছি যে উনারা একটা সুন্দরভাবে সহযোগিতা করবেন। তবে এটা একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের ব্যাপার। গর্ভমেন্ট ইজ নেগোশিয়েটিভ, উনাদের সাথে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
রাজনীতিবিদদের ওপর আস্থা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক অনেক গোলমাল হয়েছে তারপরে সব ঠান্ডা। সাইক্লোনের পর দেখবেন সব বাতাস বন্ধ হয়ে যায়। কাজের রাজনীতিবিদদের ওপর আমার আস্থা সবসময় ছিল। তারা সবাই যদি এক কথা বলে তাহলে রাজনীতি একটা দল, বাকশালের মত একটা দলে থাকবে। এখন বিভিন্ন যেহেতু মাল্টিপার্টি সিস্টেম, বিভিন্ন অপিনিয়ন থাকবে এটা এটাই তো স্বাভাবিক। নানা মত এবং পথ, পথের লোকজন নিয়েছে রাজনীতির দল। আলমেটলি দেখবেন, ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট একটা জায়গায় উনাদেরকে আসতে হবে, আসবেন। আমি এটা বিশ্বাস করি।
সিইসি আরও বলেন, উনারা সঠিকভাবেই পার্টিসিপেট করতে চান, সুন্দরভাবে খেলতে চান মাঠে। উনারা যেটা চাচ্ছেন, একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড যাতে হয়, সবাই যাতে সুন্দরভাবে খেলতে পারে, সেই সে ব্যবস্থাটা করে দেব, এবং সর্বশক্তি নিয়োগ করবো। আপনারা আজকে দেখেছেন বোধহয় আমাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন এক লাখ আর্মি মাঠে থাকবে। আপনারা তো দেখছেন আর্মিকে আমরা আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছি। সুতরাং আমি কিন্তু খুব কনফিডেন্ট। যে ভয় আপনারা পাচ্ছেন সেই ভয় করার কোনো কারণ নেই।
ইইউডি/এমজে