ঢাকা, বুধবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩২, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

নির্বাচন ও ইসি

লোম বাছতে গিয়ে কম্বল উজাড় নয়: সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৩৬, অক্টোবর ৭, ২০২৫
লোম বাছতে গিয়ে কম্বল উজাড় নয়: সিইসি সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন

ঢাকা: গত তিন নির্বাচনের ভোটের দায়িত্বে থাকাদের সবাইকে বাদ না দেওয়ার যুক্তি তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ১০ লাখ লোকের মধ্যে বাদ দিতে গেলে, কম্বলই উজাড়। লোম বাছতে গিয়ে কম্বল উজাড়— আমার অবস্থা হয়েছে সে রকম।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আয়োজিত সংলাপে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, গত তিনটা নির্বাচনে যারা দায়িত্বে ছিলেন, তাদের নিয়ে সবাই তো সন্দেহ পোষণ করেন। তবে ভালো-খারাপ তো সবখানেই আছে। কিন্তু একদম অনেকে বলছেন, গত তিন নির্বাচনে যারা কাজ করেছেন, তারা যেন ধারে-কাছে না আসতে পারেন। এখন ১০ লাখ লোকের (ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে সাধারণত) মধ্যে বাদ দিতে গেলে, কম্বলই উজাড়। লোম বাছতে গিয়ে কম্বল উজাড়-আমার অবস্থা হয়েছে সে রকম।

‘সুতরাং তাদের কিছু নিতে হবে। তবে তাদের নজরদারির মধ্যে রাখা হবে। মানুষ তো মানুষই। বিবেক আছে তো। সে তো পরিস্থিতি বুঝবে, কখন কোথায় কাজ করছে। কাজেই অনেকেই দেখবেন সঠিক আচরণ করছেন। ’

সিইসি বলেন, আমরা ব্যাংক থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নেওয়ার কথা বলছি। কারণ হলো-সরকারি কর্মচারীরা যারা আছেন, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক বলুন, আর যাই বলুন, নিচের স্তরে-এরা তো দেখে কোন সরকার ক্ষমতায় আসবে। প্রমোশন হয় কিনা, বদলি করে দেয় কিনা-এমন একটা ভয় থাকে। তাই আমরা ব্যাংক, ট্যাংক এসব চিন্তা করেছিলাম।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে নানা কারণে অভিযোগ আসছে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার বিষয়ে। আমরা বিষয়টি লক্ষ্য রাখবো। যা করার আমরা করবো মোটামুটি।

সিইসি বলেন, অন্তর্যামী হলেন আল্লাহতায়ালা। এখন অন্তরের মধ্যে কোনো দলীয় মনোবৃত্তি আছে কিনা সেটা তো জানা সম্ভব না। তবে দলীয় দলদাসের মতো কাজ করতে পারবেন না-সেটা আমরা নিশ্চিত করবো। কারও যদি রাজনৈতিক অভিলাষ থাকেও, সেটা বাস্তব কাজে প্রতিফলিত হবে না, সেটা আমরা নিশ্চিত করবো। আগে তো বলা হতো একটা পক্ষে কাজ করতে হবে, এখন তো সে রকম নির্দেশনা যাবে না। কোনো পক্ষে কাজ করলে অ্যাকশন হবে। এখনকার মেসেজ হলো এটা। এখন কারো পক্ষে কাজ করলে অ্যাকশন হবে। এই মেসেজ আমরা দিয়েছি। আরও দেবো।

‘নির্বাচন করার দায়িত্ব তো কেবল ইসির না। এটা জাতীয় দায়িত্ব। ভোটের সময় ইসির ক্ষমতা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা পায়। আগে তো রাতে গিয়ে মোটিভেটেড করে কায়দা করে ভোটটা আদায় করে নেওয়া হয়েছে। এখন যত রকমের কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব আমরা নেবো, যাতে দলীয় আচরণ না করতে পারে’, বলেন তিনি।

ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজের সঞ্চালনায় সংলাপে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি কর্মকর্তা ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

ইইউডি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।