সংস্থাটির উপসচিব মো. আব্দুল হালিম খান স্বাক্ষরিত নির্দেশনাটি রোববার বিকেলে দলগুলোকে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২২ এপ্রিলের মধ্যে সব শর্তপূরণ করতে বলা হয়েছে।
দলগুলো এর আগে যেসব তথ্য দিয়েছিলো তা বাছাই কমিটির পর্যালোচনায় যথার্থ হয়নি।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে- রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমাল, ২০০৮ এর বিধি ৬ এর (ঞ)(ই) তে বর্ণিত প্রামানিক দলিল আবেদনে সংযুক্ত করা হয়নি।
এছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ৯০বি(১) ধারা অনুযায়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র, বিভিন্ন পেশার সদস্য এবং আর্থিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের সমন্বয়ে অঙ্গ সংগঠন অন্তর্ভূক্ত না করার বিধান দলের গঠনতন্ত্রে উল্লেখ করা হয়নি।
এই অবস্থায় রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালার বিধি-৭ এর উপবিধি (৫) অনুসারে আগামী ১৫ দিন অর্থাৎ ২২ এপ্রিলের মধ্যে শর্তাবলী প্রতিপালনের পক্ষে দলিল সরবরাহসহ অন্যান্য ত্রুটি সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করতে হবে। অন্যথায় নিবন্ধনের অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে।
দলগুলোর কাছে পাঠানো নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট দলের আবেদনে ঘাটতি বা ভুল কোথায় আছে তা চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, ৭৫টি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিলো। আবেদন যথাযথ না হওয়ার ১৯টি দলকে আগেই অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৫৬টি দলের আবেদনে কিছু ঘাটতি রয়েছে। ঘাটতি পূরণের জন্য আমরা ১৫ দিন সময় দিয়েছি।
আরপিও অনুযায়ী, প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন দলকে নিবন্ধন দেওয়ার বিধান রয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আইন অনুযায়ী, গত বছরের ৩০ অক্টোবর নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলো নির্বাচন কমিশন। আর ৩১ ডিসেম্বর শেষ সময় পর্যন্ত ৭৫টি দলের আবেদন পড়েছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস