সংস্থাটি বলছে, জরিপে অংশ নেওয়া ৭৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা গত নির্বাচনে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপের এ প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বৈচয়নের ভিত্তিতে কলরেডি দেশজুড়ে ৫ হাজার মানুষকে ফোন করে। এতে সাড়া দেন ২ হাজার ১১২ জন। যাদের মধ্যে ভোটার ১ হাজার ৬০৭ জন ভোটার। এর মধ্যে মতামত দিয়েছেন ১ হাজার ৪৭৬ জন (প্রায় ৭০ শতাংশ)।
এছাড়া ১ হাজার ১৭৪ জন অর্থাৎ ৭৯ শতাংশ ৫৪ শতাংশ ভোটার গত নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে নিজের পছন্দের প্রার্থিকে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৪৭ জন অর্থাৎ ৮৯ দশমিক ১৮ শতাংশ ভোটার।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১ হাজার ৩৬৪জন অর্থাৎ ৯৩ দশমিক ২৩ শতাংশ ভোটার মনে করেন, গত নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে। আর ৬৮ দশমিক ৪২ শতাংশ ভোটার মনে করেন, নির্বাচন সম্পূর্ণরূপে এবং ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ মনে করেন, মোটামুটি গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৯৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ মানুষ নির্বাচিত সরকারের সাফল্যের ব্যাপারে আশাবাদী বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে কলরেডি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন বলেন, সকল পদ্ধতি মেনেই গবেষণাটি করা য়েছে। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান গবেষণার নিয়ম না মেনেই ফলাফল উপস্থাপন করছেন। যেমন- ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশলন, বাংলাদেশ (টিআইবি) ভ্রান্ত ফলাফল দিয়েছে। তারা বলেছেন, নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ফলাফল পেয়েছেন। এটা গবেষণার পদ্ধতি হতে পারে না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে আগের রাতে ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে, কিন্তু তাদের মোবাইল ফোনের জরিপের সময় কেউ এমন তথ্য দেননি।
ভোটার নন এমন ব্যক্তিদের নিয়ে জরিপের কার্যক্রম কতটা প্রশ্নের ঊর্ধ্বে? এমন প্রশ্নের জবাবে কলরেডির চিফ অপারেটিং অফিসার আজাদ আবুল কালাম বলেন, নন-ভোটার থাকার বিষয়টা একটা এরর। তবে এটা বড় কিছু নয়। আমরা ৫ হাজার মানুষকে ফোন দিয়েছি। জাতীয় পরিচয়পত্র যেহেতু ১৮ বছর বয়স হলে দেওয়া, সে হিসেবে এটা করা হয়েছে। তবে সাড়া দিয়েছেন ২ হাজার ১১২জন। যার মধ্যে ভোটার ১ হাজার ৬০৭ জন ভোটার।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা জানান, নির্বাচনে ৮০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।
এদিকে ভোটের দুই সপ্তাহ (১৫ জানুয়ারি) পর এক গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে টিআইবি বলছে, সংসদ নির্বাচনের ৫০টি আসনের জরিপ করে ৪৭টি আসনে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছে তারা।
তবে টিআইবির এই প্রতিবেদনকে ‘মনগড়া’ আখ্যা দিয়ে নির্বাচন কমিশন বলেছে, তাদের গবেষণাটি যথাযথ নিয়ম মেনে করা হয়নি। এ বিষয়ে সিইসি বলেন, টিআইবির বক্তব্য অসৌজন্যমূলক, প্রত্যাখান করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
ইইউডি/এমএ