ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

দাগনভূঞা পৌরনির্বাচন

শেষ হচ্ছে প্রচারণা, ভোট হবে ইভিএমে 

সোলায়মান হাজারী ডালিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২১
শেষ হচ্ছে প্রচারণা, ভোট হবে ইভিএমে 

ফেনী: ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভা নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে চলছে মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলরদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। সরগরম হাট-বাজার থেকে শুরু করে পৌর এলাকার অলিগলি।

বৃহস্পতিবার (১৫ জানুয়ারি) দিনগত মধ্যরাতে শেষ হবে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দেবে দাগনভূঞা পৌরসভাবাসী।  

এ নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে। অপরদিকে সমর্থকদের ওপর হামলা ও পচারণায় বাধাসহ বিভিন্ন অভিযোগের পরেও মাঠে ভোটারদের কাছে ভোট চাইছেন বিএনপি প্রার্থী। এ নির্বাচনকে ঘিরে মাঠে সরব বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১৩টি ভোটকেন্দ্রের ৭৩টি ভোটকক্ষে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলবে। প্রথমবারের মতো দাগনভূঞা পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট হবে। দাগনভূঞা পৌরসভায় ২৫ হাজার ৭২ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ৫শ ৬৬ জন ও নারী ভোটার ১২ হাজার ৫শ ৬ জন। নির্বাচনে ১৩টি কেন্দ্রে ১৩ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও ৭৩ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিকেন্দ্রে দুই জন করে মোট ১৪৬ জন পোলিং অফিসার থাকবেন।  

প্রতিটি ভোট কক্ষে ১টি করে ৭৩টি ইভিএম মেশিন থাকবে। এছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে ১টি করে মোট ১৩টি অতিরিক্ত ইভিএম মেশিন থাকবে বলেও জানান দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন।

তিনি আরও জানান, কোনো কারণে ইভিএম মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে বিকল্প ইভিএম মেশিনে ভোট হবে।

এদিকে মাঠে রয়েছে আওয়ামীলীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী ওমর ফারুক খান, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী কাজী সাইফুল রহমান স্বপন, জাতীয় পার্টির বিনোদ বিহারী ভৌমিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তারেক আজিজ খানসহ ৪ মেয়র প্রার্থী।
৫টি ওয়ার্ডে ১৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোটে লড়বেন আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী ওমর ফারুক খান ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী কাজী সাইফুল রহমান স্বপন। এর মধ্যে ওমর ফারুক গত দুইবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এবারও জয় লাভ করে তিনি মেয়র পদে হ্যাট্রিক করবেন বলে আশাবাদী। অপরদিকে কাজী সাইফুল ইসলাম স্বপন এ নিয়ে দুইবার পৌর নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনিও বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন বলে আশাবাদী।

সাইফুল রহমান বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়ে তিনি মেয়র নির্বাচিত হবেন। এ অঞ্চলে মানুষের আস্থা ধানে শীষে, নৌকায় নয়। তিনি বলেন, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। জনগণ যদি ভোট দিতে পারে তাহলে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর জামানতও টিকবে না।

অপরদিকে ওমর ফারুক খান বলেন, এবারও তিনি জনগণের বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হবেন। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে জনগণ তাকেই ভোট দেবে।

নির্বাচনকে ঘিরে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা বিরামহীন প্রচারণা চালাচ্ছেন নৌকা প্রতীকীকে জয়যুক্ত করতে। শেষ মুহুর্তে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।  
এদিকে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করছেন বিএনপি সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।  

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সবার সহযোগিতা পেলে একটি ভালো নির্বাচন দেওয়া সম্ভব হবে। মেয়র ও ৫ কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। অপর কাউন্সিলররা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া জানান, তিনি ১৩টি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে র‌্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট ও বিজিবি থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২১
এসএইচডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।