ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

পৌর নির্বাচন: অভিজ্ঞতা না থাকায় ইভিএমে অস্বস্তিতে ভোটাররা

সোলায়মান হাজারী ডালিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২১
পৌর নির্বাচন: অভিজ্ঞতা না থাকায় ইভিএমে অস্বস্তিতে ভোটাররা

ফেনী: দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশের ৬১টি পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ২৯টি পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হচ্ছে।

এর মধ্যে রয়েছে ফেনীর দাগনভূঞাঁ পৌরসভাও।  

চার স্তরের নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে এ পৌরসভায় ভোটকেন্দ্র গুলোতে ভোট গ্রহণ চলছে। তবে বিপত্তি দেখা দিয়েছে ইভিএমে ভোট দেওয়া নিয়ে। অভিজ্ঞতা না থাকায় ভোট দিতে এসে হিমশিম খাচ্ছেন ভোটাররা। আগে থেকেই এ পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে এ সমস্যা হতো না বলে জানিয়েছেন ভোটাররা।  

এ পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে ১৩টি ভোটকেন্দ্রের ৭৩টি ভোটকক্ষে সকাল ৮টা ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে ইভিএমে। মাঠে রয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ওমর ফারুক খান, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী কাজী সাইফুল রহমান স্বপন, জাতীয় পার্টির (জাপা) বিনোদ বিহারী ভৌমিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তারেক আজিজ খানসহ চার মেয়র প্রার্থী। পাঁচটি ওয়ার্ডে ১৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাকিগুলোতে প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্ধী নেই।  

সরেজমিনে পৌর এলাকার আলাইয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ভোটাররা ইভিএমে ভোট দিচ্ছেন। নারী ভোটার আমেনা বেগম বলেন, আগে থেকে প্রশিক্ষণ না থাকায় তার ভোট দিতে সমস্যা হয়েছে। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সহায়তায় ভোট দিয়েছেন তিনি।

একই কথা জানালেন উত্তর করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা কবির আহম্মদসহ আরও বেশ কয়েকজন ভোটার।

আতাতুর্ক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় করিমুল ইসলাম নামে এক ভোটারের সঙ্গে। তিনি বলেন, খুব কষ্ট হয়েছে ভোট দিতে। মেশিনে কীভাবে ভোট দেবো বুঝতে পারছিলাম না। পরে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সহায়তায় ভোট দিয়েছি।  

গণিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার গোলাম কিবরিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের নিজেদেরও কষ্ট হচ্ছে ইভিএম বুঝতে, ভোটারদের তো কষ্ট হবেই।

এ কেন্দ্রের ভোটার নুর জাহান জানান, কিছুতেই তিনি ভোট দিতে পারছিলেন না। পরে প্রিজাইডিং অফিসারের সহায়তায় ভোট দিয়েছেন তিনি।

দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ইভিএমে ভোট দেওয়া খুব সহজ। এ ব্যাপারে আমরা প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। কিছু সাধারণ মানুষকেও আগে থেকে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, কোনো কারণে ইভিএম মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে বিকল্প ইভিএম মেশিনে ভোট গ্রহণ করা হবে।  

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নাশকতা এড়াতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচনে পুলিশের মোবাইল টিম ও স্ট্রাকিং ফোর্স মাঠে থাকবে। এছাড়াও ফেনী জেলার ডিবি পুলিশ ও ডিএসবি নির্বাচনী মাঠে থাকবে। পুলিশের পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে।  

সকালে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২১
এসএইচডি/আরআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।