ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা।
রোববার (১২ জুন) নির্বাচন ভবনে সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে ইসি আয়োজিত সংলাপে এ পরামর্শ দেন তারা।
সম্প্রতি অবসরে যাওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, এখন নির্বাচনের পরিস্থিতি ভিন্নতর। তাই ডিসিদের পাশাপাশি নিজস্ব যোগ্য কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহমুদ তালুকদার বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ। সবার আগে একটা নিরেপক্ষ সরকার দরকার। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা না করে নিজস্ব জনবল দিয়ে করতে হবে। ইভিএম বা ভোটকেন্দ্রের পাহারা দেওয়া ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে বসতে হবে।
সাবেক কমিশনার আবু হাফিজ বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের আচরণ দেখতে হবে। এ ক্ষেত্রে খুবই কঠোর হতে হবে। সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তবে এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের ইনভলভ হওয়া যাবে না। এটা সরকারি দলের কাছে ছেড়ে দিতে হবে। আইন প্রয়োগ সঠিকভাবে করতে হবে। তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু করা সম্ভব। আমরা সঠিকভাবে নির্বাচন করলেও মানুষ মনে করেছে সুষ্ঠু হয়নি। এটা আমাদের ব্যর্থতা।
সাবেক কমিশনার শাহ নেওয়াজ বলেন, ব্যালট পেপারেও তো সিল মারা যায়। এজন্য ইভিএমের দোষারোপ করে লাভ নেই। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন যে ডাকাত (কেন্দ্রের গোপন কক্ষের দুষ্কৃতিকারী) দাঁড়িয়ে থাকার কথাটি বলেছেন, এটা আসলে সত্যি। বিষয়টি শক্তভাবে দেখতে হবে। ডাকাত সরাতে পারলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২২
ইইউডি/এমজেএফ