দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে অন্যতম ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজ। অডিও গানের স্বর্ণালি যুগ থেকে এই আধুনিক অন্তর্জালের সময়ে প্রতিষ্ঠানটি ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে শক্ত হাতে।
এ উপলক্ষ্যে বিশেষ উদযাপনের আয়োজন করে জি-সিরিজ পরিবার। এদিন প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কার্যালয় কেক কেটে দিনটি উদযাপন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জি সিরিজের সিইও খাদেমুল জাহান, গীতিকবি-সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদ, চাইম ব্যান্ডের খালেদ, সচি সামস, ঈশা খান দূরে, কণ্ঠশিল্পী কিশোর পলাশ, এফ এ সুমন, ইভা, আরমান আলিফ, তারুণ্য হীরা, ‘ব্যবসার পরিস্থিতি’খ্যাত আলী হাসান, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক রাজন সাহা, রোমেল, অমিত কর, নির্মাতা রেজা ঘটক, ইয়াসির আরাফাত জুয়েল, রাকেশ বসু, অভিনেতা ইভান সাইর প্রমুখ।
৪১ বছর পূর্তির শুভেচ্ছা জানিয়ে জি-সিরিজের কর্ণধার নাজমুল হক ভূঁইয়া (খালেদ) বলেন, রেডিও, টিভি, সিনেমা সব মিলিয়েই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছে। এই চল্লিশ বছর চলার পথে অনেক বাধা ও প্রতিকূলতা পেরোতে হয়েছে। মিউজিক পেশা হিসেবে অনেক আপ ডাউন। যেটা করোনার সময়ে ভালোভাবে দেখা গেছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে গার্ডিয়ান নেই। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেছে, আমরা এমন ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করতে পারিনি যে, শিল্পীরা স্বাবলম্বী হতে পারে।
যোগ করে তিনি বলেন, কেউ তারকা হয়ে গেলে অন্যজনকে সহযোগিতা করে না। এটা দুঃখজনক। পারলে এই ইন্ডাস্ট্রির মানুষকে সহযোগিতা করুন। এটুকু অবদান প্রত্যেকের রাখা উচিত। যতদিন বেঁচে থাকব, আপনাদের সঙ্গে থাকব।
উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালে জি-সিরিজ প্রতিষ্ঠা করেন শিল্প অনুরাগী নাজমুল হক ভূঁইয়া খালেদ। তার মেধা, মনন এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি এখন দেশের প্রথমসারির একটি প্রযোজনা সংস্থা হিসেবে সুনামের সঙ্গে এগিয়ে চলছে। দেশের প্রতিষ্ঠিত বহু গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীতশিল্পীর আত্মপ্রকাশ ঘটেছে জি-সিরিজ থেকেই।
প্রতিষ্ঠানটি বাংলা গানের ক্যাসেট/অ্যালবাম, সিডি, ভিসিডি, মিউজিক ভিডিও প্রকাশনাসহ নাটক, টেলিফিল্ম, সিনেমা এবং ভিডিও ডকুমেন্টারির প্রযোজনা-পরিবেশনা করে আসছে। ২০০৬ সালে জি-সিরিজ অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘অগ্নিবীণা’ প্রতিষ্ঠা করে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২৪
এনএটি