ঢাকা: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন শেষ হলেও তার রেশ রয়ে গেছে এখনও। বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে রিট করেন নিপুণ আক্তার।
শুধু ভোটের দিনই নয়, ভোটের আগের দিন থেকেই মিশা-ডিপজল প্যানেলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন আপিল বোর্ডের যোগসূত্রে এই অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন নিপুণ।
তবে বিষয়টি নিয়ে এতদিন চুপ ছিলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। অবশেষে নিপুণের ইস্যুতে মুখ খুললেন এই প্রযোজক। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি অফিসিয়াল ভাবে আমি অবগত না। নিউজের মাধ্যমে জেনেছি। নির্বাচন কমিশনের যদি ভুল-ত্রুটি থাকে তাহলে সেটি মামলাতেই প্রমাণ হবে। আর নির্বাচন কমিশন যদি সঠিক করে থাকে তাহলে সেখানেই প্রমাণ হবে। ’
এই কমিশনারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও এখনো কোনো কাগজ পাননি বলে জানিয়েছেন তিনি। খসরু বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও কোনো কাগজ পাইনি। কোর্ট থেকে নোটিশ করলে আমার আইনজীবীর মাধ্যমে উত্তর দেব। আমার মনে হচ্ছে এটা বেশি দিন যাবে না। ’
শুনানি শেষ হয়ে যাবে উল্লেখ করে খসরু বলেন, ‘গতবারের মতো অনেক দূর গড়ানোর মতো কোন অবস্থান নেই। এটা নিয়ে লম্বা সময়ে যাবে না। যারা মামলা করেছে তারা মনে করেছে তারা তাদের জায়গায় সঠিক আছেন। পরে যখন মামলার ফলাফলে দেখা যাবে বিষয়টি সঠিক নাই তখন তারা আবার আস্তে আস্তে তাদের জায়গা থেকে নিভৃত হবে। পরবর্তীতে হয়ত আবার মামলা করবেন না। ’
নির্বাচন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর কমিশনের চেয়ারম্যান খসরু নিপুণকে চলে যেতে বলেছিলেন, এমনটাই দাবি করেছেন অভিনেত্রী। চলে যাওয়ার প্রসঙ্গে জবাব দিয়ে খসরু বলেন, 'বিষয়টি এমন নয়। কেউ যদি জানতে চায় কি অবস্থা। আমরা তো বলতেই পারি ওই প্যানেল ভালো করেছে। যারা খারাপ করেছে সেটা তো বলতেই পারি। এটা দোষের কিছু মনে করি না। ’
উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচন। এতে সভাপতি পদে মিশা ২৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। অন্যদিকে, সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। ১৬ ভোট কম পেয়ে হেরে যান তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ। তিনি পেয়েছেন ২০৯ ভোট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৪
এনএটি