নাট্যদল ‘থিয়েটার’ আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী নাট্যোৎসব ‘থিয়েটার সপ্তাহ ২০১৫’-এর সমাপনী হয়ে গেলো বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর)। এদিন বিকেল ৪টায় শিল্পকলা একাডেমীর সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ‘থিয়েটার পত্রিকার চল্লিশ বছর’ শীর্ষক গ্রন্থ নিয়ে আলোচনা সভা।
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের সঞ্চালনায় আলোচনার সূত্রপাত করেন থিয়েটার পত্রিকার সম্পাদক রামেন্দু মজুমদার। এরপর থিয়েটার পত্রিকার দীর্র্ঘ চুয়াল্লিশ বছরের পথ পরিক্রমার ওপর আলোচনায় একে একে অংশগ্রহণ করেন থিয়েটার পত্রিকার প্রকাশক মফিদুল হক, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, অধ্যাপক আব্দুস সেলিম, নাট্যজন আতাউর রহমান, অভিনেতা সৈয়দ হাসান ইমাম, বাচিক শিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যাপক শফি আহমেদ, ব্রাজিলে দায়িত্বরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজারুল কায়েস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সুদীপ চক্রবর্তী।
আলোচনা সভা শেষে সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চায়ন হয় আবদুল্লাহ আল-মামুন রচিত ও নির্দেশিত থিয়েটার-এর বহুল আলোচিত নাটক ‘মেরাজ ফকিরের মা’।
গত ৪ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয় উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চস্থ হয় আবদুল্লাহ আল-মামুন রচিত ও নির্দেশিত নাটক ‘কোকিলারা’। ৫ ডিসেম্বর মারুফ কবির রচিত ও নির্দেশিত নতুন নাটক ‘মায়া নদী’র উদ্বোধনী মঞ্চায়ন করে দলটি। ৬ ডিসেম্বর মঞ্চায়ন হয় মাসুম রেজা রচিত এবং ত্রপা মজুমদার নির্দেশিত ‘কুহকজাল’।
৭ ডিসেম্বর মঞ্চায়ন হয় ‘মুক্তধারা’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন নায়লা আজাদ। ৮ ডিসেম্বর মঞ্চায়ন হয় সৈয়দ শামসুল হক রচিত ও আবদুল্লাহ আল-মামুন নির্দেশিত নাটক ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’। ৯ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হয় ‘বারামখানা’। পান্থ শাহরিয়ারের রচিত এই নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন ত্রপা মজুমদার।
বাংলাদেশ সময় : ০৪০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৫
জেএইচ