ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

‘কেলোর কীর্তি’ বর্জনে প্রেক্ষাগৃহের সামনে মানববন্ধন 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৬
‘কেলোর কীর্তি’ বর্জনে প্রেক্ষাগৃহের সামনে মানববন্ধন 

নামের মর্যাদা রেখেছে ‘কেলোর কীর্তি’ নামের ভারতীয় বাংলা ছবিটি! প্রবল আন্দোলন আর আইনি জটিলতা পেরিয়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে বাণিজ্যিকভাবে ঠিকই মুক্তি পাচ্ছে এটি। আগামী ২৯ জুলাই ঢাকাসহ সারাদেশের প্রেক্ষাগৃহে চলবে ‘কেলোর কীর্তি’।

এ ঘটনায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট শীর্ষ সংগঠনের নেতারা। তাই নতুন করে আন্দোলনে নামছেন তারা।   

চুক্তির নিয়ম যথাযথভাবে মানা হয়নি বলে ছবিটির প্রদর্শন বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে গত ১৮ জুলাই এসএফ ফিল্মসের প্রযোজক শরীফ হোসেন আদালতে রিট আবেদন করেন। এর পরদিন আদালত ছবিটির প্রদর্শনের ওপর ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন। পাশাপাশি এটি প্রদর্শন করা কেনো অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আরাধনা এন্টারপ্রাইজ আপিল বিভাগে আবেদন করে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দিয়েছেন। ফলে বাংলাদেশে ভারতের বাংলা ছবিটির মুক্তি ও প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনে আর কোনো বাধা রইলো না।

‘কেলোর কীর্তি’র মুক্তির খবরে হতাশা নেমে এসেছে এফডিসি ও কাকরাইলে চলচ্চিত্র পাড়ায়। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে এ প্রসঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজারের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘এটা আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য দুঃসংবাদ। এতো প্রতিবাদের মুখেও ছবিটি মুক্তি দেওয়া হচ্ছে জেনে আমরা হতাশ হয়েছি। কিন্তু আমাদের আন্দোলন থামবে না। ’ 

প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি না দেখার জন্য দর্শকদের প্রতি অনুরোধ করেছেন গুলজার। তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, দর্শকরা ছবিটি বর্জন করবেন। কারণ তারা বাংলাদেশের ছবিকে ভালোবাসেন। ’

পরিচালক সমিতির এই নেতা আরও জানান, আগামী ২৯ জুলাই ঢাকার বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহের সামনে তারা মানববন্ধন করবেন। এর মধ্য দিয়ে ‘কেলোর কীর্তি’ না দেখার জন্য দর্শকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।  
 
গত ১৯ জুন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আরাধনা এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের প্রযোজক কার্তিক দে বাংলাদেশ থেকে ‘রাজা ৪২’' ছবি ভারতে রপ্তানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘অনাপত্তি’ সনদ গ্রহণ করেন। ছবিটি কলকাতায় প্রদর্শন করা হয়েছে এ ধরনের কোনো সনদ ভারত সরকার থেকে দেওয়া হয়নি। তিন দিন পর ২২ জুন বাংলাদেশে প্রদর্শনের জন্য আমদানি করা হয় ‘কেলোর কীর্তি’। ২২ জুলাই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিলো আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আরাধনা এন্টারপ্রাইজের।  

এ ঘটনায় ফুঁসে ওঠে চলচ্চিত্র সমাজ। একপক্ষীয় ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানির ষড়যন্ত্র দাবি করে গত ঈদে কলকাতায় মুক্তি পাওয়া ‘কেলোর কীর্তি’র মুক্তি ও প্রদর্শন বন্ধ করার দাবিতে ২০ জুলাই মানববন্ধন করে ঢাকাই ছবির সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। এর মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, চলচ্চিত্র উৎপাদন ব্যবস্থাপনা সমিতি, চলচ্চিত্র গ্রাহক সংস্থা, চলচ্চিত্র নৃত্য পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র অ্যাকশন গ্রুপ ও সিডাবসহ কয়েকটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৬
এসও/জেএইচ 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।